নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও বিদ্যাসাগর সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। কেননা সেই সেতু থেকে ঝাঁপের ঘটনা। কেন বার বার এই ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি অস্বস্তি ছড়িয়েছে নবান্নেও। কেননা বিদ্যাসাগর সেতুর পরিধির মধ্যেই নবান্নের অবস্থান। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার চেতলা এলাকার বাসিন্দা সিকেশ রাহানে(২৩) স্কুটি নিয়ে চলে এসেছিল হুগলি সেতুর ওপর। তারপর সেখানে থেকেই সে ভিডিও করে জানায়, সে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে আর তার এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। সেই ভিডিও সে বাড়ির লোকেদেরও পাঠায়। সেই ভিডিও পেয়ে সিকেশের বাড়ির লোকেদের রাতের ঘুম ছুটে যায়। তাঁরা দ্রুত বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করেন কলকাতা পুলিশের সঙ্গে। পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত সতর্ক করা হয় বিদ্যাসাগর সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের। তার জেরে পুলিশকর্মীরা দ্রুত সেতুর ওপর এলেও সিকেশের দেখা পাননি। তবে তাঁর স্কুটিটি উদ্ধার হয় সেতুর ওপর থেকেই।
ঘটনার জেরে পুলিশের মনে হয়েছিল সিকেশ ঝাঁপ দিয়েছেন গঙ্গায়। তাই এদিন সকালে সেতুর কাছে এনডিআরএফ কর্মীরা গঙ্গায় তল্লাশি চালাতে শুরু করেছেন। ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিকেশের দেহ এখনও মেলেনি। কিন্তু ঠিক কী কারনে সিকেশ আত্মহত্যা করল তা নিয়ে এখনও ধন্ধে আছে পুলিশ। যদিও তাঁর পরিবারের দাবি, ছোটখাটো ব্যবসা করত সিকেশ। সেই সূত্রেই হয়তো ঋণে জড়িয়ে গিয়েছিল সে যা বাড়ির লোকেদের জানায়নি। যদিও পুলিশ এই ঘটনার পিছনে প্রেমের সম্পর্কও জড়িয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে। তবে সিকেশের মোবাইলটিও ঘটনার পর থেকে আর মিলছে না। সেটি পাওয়া গেলে তবুও পুলিশ কিছুটা আন্দাজ করতে পারত যে এই মৃত্যুর পিছনে আসল রহস্য কী রয়েছে।