নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম জমানাতেও যা সম্ভব হয়নি সেটাই সম্ভব হল তৃণমূল(TMC) জমানায়। আর সেটাও তৃণমূলকে হারিয়ে। কার্যত বুধ সকালে ছোটখাটো বিপ্লব ঘটে গেল ফরাসডাঙার বুকে। উপনির্বাচনে(Bye Election) জয়ী হল বামেরা(Left)। আর সেটাও ৩২ বছর বাদে। আর তাই সকাল থেকেই লাল আবিরে ঢাকা পড়ল চন্দননগরের(Chandannagore) আকাশ বাতাস রাস্তা। চলতি বছরের প্রথম দিকেই রাজ্যের ৪টি পুরনিগমের নির্বাচন একইদিনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল হুগলি জেলার চন্দননগর পুরনিগমও। কিন্তু সেই নির্বাচন চলাকালীন সময়েই শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির প্রার্থীর মৃত্যু হলে ওই ওয়ার্ডে নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হয়। সেই আসনেই গত রবিবার উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। সেই ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয় এদিন অর্থাৎ বুধবারে।
এদিন গণনার শুরু থেকেই লিড তুলেছিলেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৩০ ভোটে জয়ী হন। তিনি পেয়েছেন মোট ১০১৮টি ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূলের সুজিত কুমার নাথ পেয়েছেন ৮৮৮টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী সৌমেন দাস পেয়েছেন ৬৭্টি ভোট ও কংগ্রেস প্রার্থী মুকুল দে পেয়েছেন ৪৪টি ভোট। ৭ বছর আগে এই পুরনিগমে যে নির্বাচন হয়েছিল তাতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল। তারও আগে এই ওয়ার্ড ছিল কংগ্রেসের দখলে। কিন্তু এবারে ৩ দশক বাদে সেখানে জয়ী হল বামেরা। মূলত ক্রিশ্চান ও মুসলিম ভোটার অধ্যুষিত এই ওয়ার্ডে বামেদের জয় রাজ্য রাজনীতিতে লালপার্টিকে ফের অক্সিজেনের জোগান দিল। তবে বামেদের এই জয়ের পরেও কিন্তু চন্দননগর পুরনিগমের ক্ষমতায় তৃণমূলই থেকে যাচ্ছে। কেননা শহরের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১টি ওয়ার্ডে আগে থেকেই জিতে বসে আছে তৃণমূল। ওই পুরবোর্ডে বিরোধী হিসাবে একমাত্র উপস্থিতি ছিল বাম অভিজিৎ সেন। এবার তার সঙ্গে যোগ দিতে চলেছেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়।