নিজস্ব প্রতিনিধি: আত্মীয়রা গত কয়েকদিন ধরে তাঁকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা বাড়িতে খোঁজ নিতে আসেন। এই বাড়িতে এসে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে তালা দেওয়া। এদিকে ঘরের ভেতর থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। পরিস্থিতি ভালো নয় অনুমান করে এরপরই তাঁরা স্থানীয় থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আর তারপরেই বাড়ির দরজা ভেঙে পুলিশ ঢুকতেই উদ্ধার হয় বাড়ির মালিকের পচা গলা মৃতদেহ। একইসঙ্গে উধাও হয়েছে তাঁর গাড়ি ও পোষ্যও। গোটা ঘরে ধ্বস্তাধ্বস্তির কোনও চিহ্ন চোখে পড়েনি। ঘটনাস্থল খাস কলকাতার নাগেরবাজার থানার(Nagerbazaar PS) নয়াপট্টি এলাকা। সেখানেই একটি বাগানবাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হয়েছে ওই বাগানবাড়ির মালিক কল্যাণ ভট্টাচাৰ্য(৭২)’র দেহ।
জানা গিয়েছে, বাগানবাড়িতে একাই থাকতেন কল্যাণবাবু। কলকাতা ও সল্টলেকে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকেন তাঁর আত্মীরা। ইতিমধ্যেই পুলিশ(Police) মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে খুনের(Murder) মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে, এক যুবকের রহস্যজনক গতিবিধি পুলিশের চোখে ধরা পড়েছে। এই যুবক সম্পর্কে খোঁজখবর করা শুরু করেছে পুলিশ। কল্যাণবাবুর আত্মীয়দের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলছেন। কারও ওপরে সন্দেহ আছে কী না, কল্যাণবাবুর সঙ্গে কারও সঙ্গে শক্রুতা ছিল কী না সেই নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে এসেছেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হেডকোয়ার্টার অজয় প্রসাদ। পুলিশ কথা বলছে ওই বাগানবাড়ির প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের সঙ্গেও। যে যুবকের সন্দেহজনক গতিবিধি পুলিশের নজর এসেছে তার সঙ্গে কল্যাণবাবুর কী সম্পর্ক সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।