নিজস্ব প্রতিনিধি: খাস কলকাতায় হানি ট্র্যাপ (Honey Trap)। বেশ ছড়িয়েছিল জাল। ‘কেচ্ছা’ ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হত মোটা অঙ্কের টাকা। তবে শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ল মূল পাণ্ডা। হেয়ার স্ট্রিট থানার আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়েছে চক্রের মাথা শুভ দাস।
পুলিশ (Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্র একটি কল সেন্টার খোলে। সেখান থেকেই চলত ভিডিও কল। কেউ সেই কল রিসিভ করলেই স্ক্রিনে ফুটে উঠত মহিলাদের অশ্লীল ছবি। আর কয়েক সেকেন্ডের সেই ভিডিওকে হাতিয়ার করে চলত ব্ল্যাকমেল। সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে এমনই ভিডিও পাঠানো হয় তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে। দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা। ছবিও মর্ফ করা হয়েছিল ওই ব্যক্তির। বলা হয়েছিল, চাহিদা মত টাকা না দিলে তবে এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে তা ভাইরাল করা হবে। এই ভাবেই হাতিয়ে নেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। আর তারপরেই দাবি করা হয় আরও মোটা অঙ্কের টাকা। শুরু হয় হুমকি। চাওয়া হয় ৮ লক্ষ টাকা। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে জানা যায় ওই চক্রে রয়েছে একাধিক যুবতী। অন্যদিকে, ৫০ হাজার টাকা যেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেছিলেন ব্যক্তি, সেই সূত্র ধরে ও মোবাইলের কল লিস্ট এবং টাওয়ার লোকেশন ধরে গ্রেফতার করা হয় মূল পাণ্ডাকে। উদ্ধার করা হয় ২০ টিরও বেশি মোবাইল। তাকে জেরা করা হচ্ছে। এই চক্রে আরও কে কে জড়িত, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।