নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্কুলকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি(School Recruitment Scam) হওয়ায় চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) স্কুল সার্ভিস কমিশনের(SSC) ২০১৬ সালের ৪টি প্যানেলের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া প্রায় ২৬ হাজার মানুষের চাকরি কেড়ে নেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) গত বুধবার মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এর বাইরে ব্যক্তিগত ভাবেও চাকরিহারারা সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। এদিন জানা গিয়েছে এই সব মামলা একযোগে শুনানি হবে এবং আগামী ৩ মে সেই মামলার শুনানির(Case Hearing) সম্ভাবনা রয়েছে। এই মামলায় যারা চাকরি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন তাঁরাও অংশগ্রহণ করছেন। কেননা তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আগে থেকেই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছেন, যাতে তাঁদের বক্তব্য না শুনে সুপ্রিম কোর্ট কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়। দেখার বিষয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলায় কী পদক্ষেপ করে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফেই জানানো হয়েছে, চাকরি বাতিল মামলার শুনানি আগামী ৩ মে হতে পারে। তবে কোন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হবে তা এখনও জানানো হয়নি। আইনজীবীদের কেউ কেউ মনে করছেন, যদি আগামী ৩ তারিখ এই মামলার শুনানি হয় তাহলে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপরে স্থগিতাদেশ নেমে আসবে। কেননা কলকাতা হাইকোর্টের যে স্পেশ্যাল ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে, সেই বেঞ্চই গঠিত হয়েছে সুপ্রিম নির্দেশে। সেই বেঞ্চ গঠনের লক্ষ্যই ছিল দ্রুত এই মামলার শুনানি শেষ করে রায় দেওয়া। সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টে এই স্পেশ্যাল ডিভিশবন বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল, সেই বেঞ্চেরই পর্যবেক্ষণ ছিল, কিছু মানুষ অনায্য পথে হেঁটে চাকরি পেয়ে থাকতে পারে। কিন্তু আদালত এটা বিশ্বাস করে না যে সবাই সেই পথেই হেঁটেছেন। তাই সকলের চাকরি কেড়ে নেওয়া কখনই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। এভাবে হাজার হাজার মানুষের চাকরি কেড়ে নেওয়াও যায় না। এখন দেখার বিষয় আগামী দিনে সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান কী হয় এই নিয়ে।