নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ কলকাতার ওয়াটগঞ্জে প্ল্যাস্টিকের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি মহিলার দেহ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ওই মহিলার ভাসুর। ধৃতের নাম নীলাঞ্জন সরখেল। যদিও এই হত্যাকাণ্ডের পর এখন ওই মহিলার স্বামীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁকে খুঁজতে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত দুর্গা সরখেলের বয়স ৩০ বছর। ওয়াটগঞ্জে মহিলাকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে তাঁর ভাসুরকে আটক করে পুলিশ। পরে তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে মুখে দুর্গার খুনের কথা স্বীকার করেছেন তাঁর ভাসুর নীলাঞ্জন । তবে পুলিশ আশঙ্কা করেছেন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বেশ কয়েকজন। ইতিমধ্যেই এই পুরো হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ ওয়াটগঞ্জের একটি পরিত্যক্ত এলাকা থেকে কালো প্ল্যাস্টিকে মোড়া মহিলার টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই মৃতদেহর টুকরো টুকরো অংশগুলি পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই পরিত্যক্ত বাড়ির ভেতরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে হোমিসাইড শাখা। যে মহিলার টুকরো টুকরো দেহ প্লাস্টিকে (Plastic) পাওয়া গিয়েছে সে স্থানীয় কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অন্য কোথাও খুন করে মৃতদেহ লোপাট করার জন্য দেহাংশ আলাদা আলাদা করে কেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।