নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় অর্থ বাজেট(Budget) হোক কী রাজ্যের বাজেট, আগে তা পেশ হয় আইনসভায়। তারপর তা পাশ হয় কেন্দ্র বা রাজ্য মন্ত্রিসভায়(State Cabinet)। আইনসভার অর্থ শুধুমাত্র লোকসভা এবং বিধানসভা(State Assembly)। সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা এবং রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষ বা বিধানপরিষদে অর্থবিল আনা যায় না। কেননা সেখানকার সদস্যরা সরাসরি জনতার মাধ্যমে নির্বাচিত হন না। সাংবিধানিক ভাবে তাই কেন্দ্রীয় অর্থবিল বা বাজেট কিংবা রাজ্যের অর্থবিল বা বাজেট দুটোই আনতে হয় আইনসভার নিম্নকক্ষ লোকসভা বা বিধানসভায়। তবে সব জায়গাতেই দেখা যায় গোপনীয়তা রক্ষার জন্য বাজেট আগে পেশ হয় লোকসভা বা বিধানসভায়। পরে তা পাশ হয় কেন্দ্রীয় বা রাজ্যের মন্ত্রিসভায়। কিন্তু এর উলোটপুরাণ ঘটল এদিন বাংলার বিধানসভায়। সেখানে এদিন বসেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠকেই পাশ হয়ে যায় ২০২৪-২৫ সালের অর্থ বাজেট(State Budget)। তারপরে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে পেশ হয় বাজেট। পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya)।
এদিন রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উপস্থিতিতেই বসে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানেই ২০২৪-২৫ সালের বাজেট করা হয় বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, বৈঠকে বাজেট পেশ হয়নি, বিধানসভায় বাজেট পেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাজেটের গোপনীয়তা বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। গোপনীয়তার নীতি লঙ্ঘণ করা হয়নি। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে চন্দ্রিমা মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করে তাঁর আশির্বাদ চেয়ে নেন যাতে তিনি নির্বিঘ্নে বাজেট পেশ করতে পারেন। তবে এদিন বাজেট পেশের আগেই রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের চিৎকার চেঁচামেচিতে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীকেও তাঁর আসন ছেড়ে উঠে কিছু বলতে দেখা যায়। তবে হট্টোগোলের জন্য এটা ঠিক মতন বোঝা যায়নি যে তিনি কাকে বলছেন ও কী বলছেন। তবে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের অনুরোধ করেন শান্ত হয়ে বাজেট পেশের যথার্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে। যদিও বিজেপি বিধায়কেরা তাতে কান দেননি। তাঁরা চেঁচামেচি চালিয়ে যান। বাজেট পেশের সময় বিজেপির বিধায়কদের চিৎকার চেঁচামেচির জন্য রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বার বার সতর্ক করতেই দেখা যায়।