নিজস্ব প্রতিনিধি: নতুন বাংলা বছরের শুরুর আগেই ১৬৫ কোটি টাকা(165 Crore Rupees) ঢুকে গেল বাংলার কোষাগারে(Bengal Treasury)। সৌজন্যে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের(West Bengal State Transport Department) ওয়েভার স্কিম(Waiver Scheme)। রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বিশেষ ওয়েভার স্কিম চালু করেছিল পরিবহণ ক্ষেত্রে। রাস্তায় চলা বিভিন্ন রকমের গাড়ির বিবিধ বকেয়া সুদ ও জরিমানার ওপর এককালীন ছাড়ের সুযোগ নিয়ে গাড়ির মালিকেরা যাতে কর প্রদানে এগিয়ে আসেন সেই লক্ষ্যেই তা চালু করা হয়েছিল। দেখা গেল সেই সুযোগ নিতে গাড়ির মালিকদের মধ্যে উৎসাহও বেশ ছড়িয়ে পড়ে। আর তার সুবাদেই ১৬৫ কোটি টাকা ঘরে তুলল রাজ্য সরকার। গাড়ির মালিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই এই বকেয়া জমার প্রক্রিয়া জারি ছিল। যদিও রাজ্যের অর্থ দফতরের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, কর ছাড়ের এই স্কিম থেকে আরও বেশি পরিমাণ টাকা আসার প্রত্যাশা ছিল।
এই ওয়েভার স্কিল প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘বাংলার রাজপথে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক গাড়ির দৌড় নিশ্চিত করতেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গাড়ির মালিকদের বকেয়া সুদ কিংবা জরিমানা থেকে রেহাই দিতে ছুটির দিনগুলিতেও দফতরের কর্মী-অফিসাররা কাজ করেছেন। রাজ্যের প্রায় আড়াই লাখ গাড়ি বকেয়া কর, মেয়াদ উত্তীর্ণ সার্টিফিকেট অব ফিটনেস কিংবা পারমিট আপ টু ডেট করানো হয়েছে। গাড়ির মালিকদের তরফে এই ওয়েভার স্কিমে ব্যাপক সাড়া মিলেছে।’ অন্যদিকে রাজ্যের অর্থ দফতরের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, এই স্কিম থেকে আরও বেশি পরিমাণ টাকা আসার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘিরে মালিকদের একাংশের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। তাই ১০ থেকে ১২ বছরের বেশি পুরনো গাড়ির মালিকরা এই স্কিমে তেমন একটা আগ্রহ দেখায়নি। ১০ বছরের নীচে বয়সি গাড়ি থেকেই ১৬৫ কোটি লক্ষ্মীলাভের বড় অংশ এসেছে।