নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেসবুকে এখন মিম ভাইরাল হয় ‘প্যারালাল ইউনিভার্স’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে। কিন্তু এই ঘটনায় কি তাই বলা যায়? যেই রাজ্যপালের কাছে কিছু হলেই ছুটে যায় পদ্মশিবির, সেখানে এমনও সম্ভব? বিজেপি (BJP) নেতার কাছেই ‘অপমানিত’ হতে হল ধনখড়কে। তাঁকে বিঁধেছেন গেরুয়া তাঁবুর মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যপালকে (Governor) নিশানা করেন তিনি হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে। আর তা নিয়েই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিকেলে তিনি রাজ্যপালকে অভিযোগ করে এসেছিলেন হাঁসখালি ধর্ষণ নিয়ে। বরাবরের মতোই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। জরুরি ভিত্তিতে রিপোর্ট তলব করেছিলেন মুখ্যসচিবের কাছে। হাঁসখালি ধর্ষণ ও রামনবমীতে হিংসার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। মুখ খুললেন দাবি জানিয়ে। বেশ কড়াভাবে দিলেন প্রতিক্রিয়া।
সে বিষয়ে কিছু না বলে রাজ্যপাল তারপরেও টুইট করেন। তাতে লেখেন, হাঁসখালির মত লজ্জাজনক ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না। দেখানো পথই অনুসরণ করবে পুলিশ। রাজ্যপালের প্রথম করা টুইটের পর কী বলেছিলেন শমীক ভট্টাচার্য? তিনি বলেন, শুধু টুইট করে আর কাজ হবে না। কিছু করুন। আরও বলেন, রাজ্যপাল সংবিধানের রক্ষাকর্তা। সংবিধান অনুযায়ী মানুষের অধিকার রক্ষা করা তাঁর কর্তব্য। হয় তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুক না হলে চুপ করে থাকুক। রাজ্যের মানুষ আর রাজ্যপালের টুইট দেখতে চায় না। চায় না রাজ্যপালের বিবৃতি। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ বারবার শুনছে রাজ্যপাল বলেন রাজ্যজুড়ে আইনের শাসন নেই। সঠিক ভাবে রাজ্য চালানো হচ্ছে না। মানুষ আতঙ্কিত। এসব শুনে মানুষ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন শমীক। এদিন এই বিষয়ে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ-ও দেখায় বিজেপি।