নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘরের ভিতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল। ঘটনাটি ঘটেছে, নিউটাউনের গোবিন্দ নগরে। অভিযোগ, গরমে পাখার তার খুলে পাখা চালাতে বাধা দেওয়ায় মৃত্যু হয়েছে ব্যক্তির। আর ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ হিসেবে অভিযুক্ত করা হয় দুই দিদিকে এবং এলাকাবাসীদের ক্ষোভে পরে ব্যপক মারধর করা হয় তাঁদের। এই নিয়েই রবিবার সরগরম হয়ে রয়েছে নিউটাউন গোবিন্দ নগরের দ্বিতীয় লেনের ওই এলাকা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। ঘটনাটির বর্ণনা অনুযায়ী, নিউটাউন (New Town) থানা এলাকার গোবিন্দ নগরের দ্বিতীয় লেনের বাসিন্দা আশিস রায়। তিনি বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর পর আশিস মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পৈতৃক বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। শুধু তাঁকে রান্না করে দেওয়ার জন্যে একজন কর্মী ছিল। দুই দিদি বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি চলে গিয়েছেন। তবে মাসের ভাড়ার টাকা তুলতে আসেন তাঁরা, কারণ তাঁর বাড়িতে রয়েছে একাধিক ভাড়াটে। আর ঘটনার দিন ভাড়ার টাকা নিতে এসেই দিদিরা ভাইয়ের উপর অত্যাচার চালায় বলে দাবি এলাকার মানুষজনের। আরও অভিযোগ, এক দিদির বর ভাইকে রীতিমতো বেল্ট দিয়ে মারধর করাতেই মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের। সম্পত্তি হাতানোর লোভেই ভাইকে এভাবে খুন করেছে দিদির বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এরপর গত শুক্রবার আশিসকে খাবার দিতে ডাকাডাকি করার পরও দরজা কেউ খোলেননি। অতএব খাবারকর্মী তাঁর খাবার দরজার সামনে রেখেই চলে যান।
রবিবার সকালে এসে ফের ডাকাডাকি করলেও দরজা না খোলায় ওই কর্মী এলাকার বাসিন্দাদের খবর দেয়। এবং পাড়ার বাসিন্দারা সেখানে পৌঁছে দরজা খুলে দেখে খাটের উপরে আশিস মরে পড়ে রয়েছে। আর যে ঘরে আশীষের মৃতদেহ পাওয়া যায়, সেই ঘরের পাখার তার কাটা ছিল। এরপরই এলাকাবাসী খবর দেয় নিউটাউন থানায়। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই বাড়িতে ছুটে দুই দিদি। এবং ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তখন দুই বোনকে ধরে ব্যাপক মারধর (Lynching) করে। অবশেষে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন। বর্তমানে নিউটাউন থানার পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।