নিজস্ব প্রতিনিধি: জয়েন্ট পরীক্ষায় র্যাঙ্ক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল এক পরীক্ষার্থী। বুধবার সেই মামলার শুনানির সময় দেখা গেল সরষের মধ্যেই ভূত। অভিযোগকারী পরীক্ষার্থী খোদ নিজের র্যাঙ্ক নিয়ে জালিয়াতি করেছে বলে ধরা পড়ল আদালতে। জালিয়াতি ধরলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
এক জয়েন্ট পরীক্ষার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল, তার জয়েন্ট পরীক্ষার র্যাঙ্ক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ তুলে। তার দাবি, চলতি বছরেই জয়েন্টে বসেছিল সে। কিন্তু রেজাল্ট প্রকাশের পর কিউআর কোড স্ক্যান করে সে যে র্যাঙ্ক দেখেছিল তা কয়েক দিন পরে হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। ওই পরীক্ষার্থী আদালতে বলে, প্রথমে ওয়েবসাইটে নিজের র্যাঙ্ক যখন সে দেখে তখন তার জেনারেল মেরিট র্যাঙ্ক ছিল ১৬ এবং পিএমআর বা ফার্মাসি মেরিট র্যাঙ্ক ছিল ২৪। কিন্তু পরে সেই র্যাঙ্ক যখন পরীক্ষা করে ঐ ছাত্র তখন দেখা যায় তার জিএমআর হয়েছে ১৪৩৯ এবং পিএমআর ৩২৮৫। এই পরিবর্তন কীভাবে হল তা জানতে চেয়ে, রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে সে।
আদালতে এদিন জয়েন্ট বোর্ডের আইনজীবী বিচারপতি কৌশিক চন্দকে পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্রে থাকা কিউ আর কোড স্ক্যান করে তার র্যাঙ্ক দেখার জন্য বিচারপতির কাছে আর্জি জানান। যেহেতু উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীর হস্তাক্ষর রয়েছে। তাই সেটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এরপর উত্তরপত্রে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে বিচারপতি দেখেন ওই পরীক্ষার্থীই জালিয়াতি করেছে। শুধু নিজের নয়, আইনজীবীর ফোন থেকেও স্ক্যান করানো হয় কিউআর কোড। ওই পরীক্ষার্থী র্যাঙ্ক কমিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিল। পাশাপাশি এদিন বিচারপতি ওই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে।