নিজস্ব প্রতিনিধি: ইঙ্গিত মিলেছিল মঙ্গলবারই। বুধ সকালে সেটাই বাস্তব হল। বীরভূম(Birbhum) জেলার রামপুরহাট(Rampurhat) থানার বকটুই(Boktui) গ্রামে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) দায়ের হল স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব নিজে এই মামলা এদিন দায়ের করেছেন। সেই বিষয়টি তিনি বুধবার সকালে হাইকোর্ট খোলার পরেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং সরকারি কৌঁসুলিকে এজলাসে ডেকে জানিয়ে দেন। এদিন দুপুর ২টোর সময়েই এই মামলার শুনানি হবে বলেও জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। একই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি গোটা ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত। এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও জঘন্য অপরাধ। অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত। ১০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হল। ঘরবন্দি করে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হল। এই ধরনের ঘটনার পিছনে যারা আছে তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া দরকার।
এদিকে এদিনই বকটুই গ্রামে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম(Muhammad Selim)। তিনি সেখানে মূল এলাকা পরিদর্শন করার পাশাপাশি কথা বলেন কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গেও। তাঁর উপস্থিতিতে বামেরা সেখানে মিছিলও বার করেন। তবে সেই মিছিলের পরেই বকটুয়ে পৌঁছান বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু(Biman Basu) ও অনান্য বাম নেতারা। কিন্তু তখন আর তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। কারণ হিসাবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় ফরেন্সিক টিম মূল ঘটনাস্থলে রয়েছে। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করছে। তাই কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে বীরভূম জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বকটুই গ্রামের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ একাধিক কড়া ধারায় মামলা রুজু করেছে। ওই সব ধারার মধ্যে রয়েছে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০২, ৩২৫, ৩২৬, ৪৩৫ ও ৪৩৬ নম্বর ধারা যা খুন ও অগ্নিসংযোগের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়।