এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নজরে অরূপ, ঘুঁটি সাজাচ্ছে সিবিআই

নিজস্ব প্রতিনিধি: বড়সড় ঝাঁকুনি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। ১১ বছর আগে খুন হওয়া পরিবেশবিদ তপন দত্ত(Tapan Dutta) খুনের ঘটনায় সিবিআই(CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার এই রায় দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ওই খুনের ঘটনার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সব দায়িত্ব সিবিআই পালন করবে। বিশেষ সিবিআই আদালতে বিচার-পর্ব চলবে। আদালতের এই নির্দেশকে এদিন স্বাগত জানিয়েছেন তপনবাবুর স্ত্রী প্রতিমা দত্ত(Pratima Dutta)। তিনি জানিয়েছেন, ‘আশা করছি, এ বার ন্যায়বিচার হবে। এ বার মনে হচ্ছে অপরাধীরা শাস্তি পাবে। প্রশাসনের গালে আমি সপাটে একটা চড় মারতে পেরেছি। গত ১১ বছর পুলিশের নির্দেশে কার্যত বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ করে কাটাতে হচ্ছে। আমি ঘরে বন্দি। আমার মেয়েরা ঘরে বন্দি। অথচ আমি দেখেছি খুনিরা জামার বোতাম খুলে রাস্তায় ঘুরছে। হয়তো আরও একটু দেরি হবে। আরও চার-পাঁচ বছর লাগবে, তাতে আমার অসুবিধা নেই। দোষীদের শাস্তি দিয়েই ছাড়ব। সিআইডির ওপর আমার কোনও আস্থা নেই। কিন্তু সিবিআইয়ের প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে।’ আর সেই সিবিআই সূত্রেই জানা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়কে(Arup Roy) এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাতে পারে সিবিআই।

প্রশ্ন হচ্ছে কেন অরূপ রায়? হাওড়া ও হুগলি জেলায় একসময় ছিল বিস্তীর্ণ এক জলাভূমি। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় মাছ চাষ করে, সংসার চলত বহু মানুষের। এই জলাভূমিতেই কয়েক শতক ধরে গড়ে উঠেছে নানা জনপদ, শহর, গ্রাম, লোকালয়। কিন্তু তারপরেও বিশাল এক জলার অস্তিত্ব তখনও ছিল। সেই জলা হল জয়পুর বিল। কিন্তু তলে তলে ষড়যন্ত্র চলছিল, সেই জয়পুর বিলও বুজিয়ে ফেলঅর। জমি হাঙর ও মাফিয়ারা ওঁত পেতেছিল সেদিকেই। তাতেই বাদ সেধেছিলেন তপন দত্ত। কার্যত বাম জমানার সময় থেকেই তপবনবাবু সেই লড়াই শুরু করেছিলেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, পঞ্চায়েত, বিডিও, ভূমি দফতর, জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন নিবেদন করা ছাড়াও হাওড়া জেলার সদর মহকুমার বালি-জগাছা ব্লকের জগদীশপুর, চামরাইল এবং বাইগাছি মৌজার অধিবাসীদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘বালি-জগাছা জলাভূমি বাঁচাও কমিটি’। সেই আন্দোলন করতে গিয়েই ৬ মে ২০১১ সালে রাত পৌনে ১০টা নাগাদ বালি ষ্টেশনের কাছে ঘোষপাড়া রেল গেটে খুন হয়ে যান তপনবাবু। সেদিন খুব কাছ থেকে তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করা হয়।

ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ রমেশ মাহাতো, ষষ্ঠী গায়েন, সুভাষ ভৌমিক, কার্তিক দাস ও অসিত গায়েন নামে ৫জনকে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশের দেওয়া প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল মোট ৭জনের। ওই ৫জনের বাইরেও অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছিল পি রাজু ও সন্তোষ সিংহ নামে আরও ২জনের নাম। পরে সেই ঘটনায় রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। তপনবাবুর স্ত্রী প্রতিমা দেবীর দাবি, রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা তৃণমূলের নেতা অরূপ রায়ের চক্রান্তেই এমনটা ঘটেছে। সিআইডি প্রথম যে চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছিল তাতে অরূপ রায়, কল্যাণ বসু, ষষ্ঠী গায়েন-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা ও বিধায়কের নাকি নাম ছিল। কিন্তু পরে সিআইডি দ্বিতীয় যে চার্জশিট জমা দেয় তাতে ওইসব নেতা, মন্ত্রী বিধায়কদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। কেন সেই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে সেই সদত্তর আজও দিতে পারেনি সিআইডি। এখন সিবিআই যখন তপন দত্তের খুনের ঘটনার তদন্ত ভার পেয়ে গিয়েছে তখন এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও শাসক দলের বিধায়কদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলেই সূত্রে জানা গিয়েছে। আর সেই সূত্রেই জানা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়কে এই মামলায় খুব শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকতে পারে সিবিআই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সুপ্রিম রায়ের পরে আবির খেললেন শিক্ষকরা, কলকাতায় ফলের জুস খেয়ে অনশন ভঙ্গ

‘সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় মেলায় খুশি’, এসএসি মামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার

তৃতীয় দফার ভোট শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

বঙ্গে দুর্যোগ চলবে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা, জলোচ্ছ্বাস বাড়বে

‘সত্যের জয় হয়েছে’, সুপ্রিম নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে টুইট অভিষেকের

গরম বা পুজোর ছুটিতেও নিতে হবে অনলাইন ক্লাস, নয়া নির্দেশ শিক্ষা সংসদের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর