নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চরম অস্বস্তিতে সিবিআই। ফের একবার মুখ পুড়ল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি ও সিবিআই আধিকারিকদের তলব করেছিলেন। এর বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। সোমবার ওই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, স্পিকারের চিঠিকে সমন হিসেবে ধরছেন কেন? এটাও তো হতে পারে কোনও আলোচনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এরপরই তিনি নির্দেশ দেন, সিবিআই অফিসারদের বলুন একবার অন্তত হাজির হতে স্পিকারের সামনে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, স্পিকার একটি সাংবিধানিক পদ। তিনি ডাকলে হাজিরা দিতে হবে সিবিআইকে। সেই সঙ্গে এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ তদন্তকারী সংস্থাকে স্পিকারের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তবে স্পিকার কোনও নারদা চার্জশিট নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবে না, যে চার্জশিটে অনুমতি ইতিমধ্যে রাজ্যপাল দিয়েছেন, নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
নারদ মামলায় রাজ্য়ের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। সেই সঙ্গে বিধায়ক মদন মিত্রের নামও আছে ওই চার্জশিটে। রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, স্পিকারকে না জানিয়ে কী ভাবে এই পদক্ষেপ করা হল? তাই তিনি সিবিআই আধিকারিকদের বিধানসভায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকদের। সোমবার অর্থাৎ আজ তাঁদের দুপুর একটায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। যদিও কোনও সিবিআই আধিকারিক এদিন হাজিরা দেননি।
উল্টে এই তলবের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি ছিল রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই এই চার্জশিটে অনুমতি দিয়েছে। এদিন শুনানি চলাকালীন এই প্রসঙ্গও ওঠে। এক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই মামলায় স্পিকারের এক্তিয়ার এবং রাজ্যপালের অনুমতি দেওয়া নিয়ে শুনানি চলতে পারে। কিন্তু সিবিআইকে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্পিকার একটি সাংবিধানিক পদ, সুতরাং, তিনি ডাকলে সিবিআইকে হাজিরা দিতে হবে।