নিজস্ব প্রতিনিধি: ঠ্যালার নাম বাবাজি! কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আসার পরই সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ রাজ্য বিধানসভায় হাজির হলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের পাঁচ আধিকারিক। জানা যাচ্ছে, এই পাঁচ আধিকারিকই নারদ মামলার তদন্তের কাজে যুক্ত ছিলেন। সিবিআই আধিকারিকদের বিধানসভায় ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্য়েই সেখানে হাজির হয়ে যান এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি-র দুই আধিকারিক। যদিও হাইকোর্টে সিবিআইয়ের আবদনের ভিত্তিতেই নির্দেশ এসেছিল। তবুও আগাম সতর্কতামূলক কারণে ইডিও এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে হাজির হয়ে গেল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের পাঁচ জনের দলে এসপি, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১টায় বিধানসভার অধ্যক্ষ সিবিআই আধিকারিকদের তলব করেছিলেন। নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং বিধায়কের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছিলেন অধ্যক্ষের অনুমতি না নিয়েই। যা নিয়ে সিবিআইয়ের ব্যাখ্যা চেয়ে সিবিআই আধিকারিকদের হাজিরা দিতে বলে চিঠি দিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার। কিন্তু সিবিআইয়ের কোনও আধিকারিক এদিন বিধানসভায় যাননি। কিন্তু তাঁদের করা মমলায় জোর ধাক্কা খেতে হয় সিবিআইকেই। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, স্পিকার একটি সাংবিধানিক পদ, সুতরাং, তিনি ডাকলে সিবিআইকে হাজিরা দিতে হবে। সেই মতো সোমবার বিকেল চারটের সময় বিধানসভায় পৌঁছে যান পাঁচ আধিকারিক। এর কিছুক্ষণ পরই ইডি-র তরফে সেখানে পৌঁছে যান দুই আধিকারিক।