নিজস্ব প্রতিনিধি: আরও একটা নতুন বছর। পুরানো বছর পেরিয়ে ১৪২৯ বঙ্গাব্দর প্রথম দিন। পয়লা বৈশাখ। বৈশাখের প্রথমদিন মানেই নবান্ন। এই বছর ১ বৈশাখ পড়েছে শুক্রবার। আর নবান্ন থেকে রাজ্যবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা (Wish) জানালেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন টুইট (Tweet) করে মমতা লেখেন, ‘শুভ নববর্ষ ১৪২৯। নববর্ষে শুভ আনন্দে জাগো। সকলকে জানাই অনেক অনেক প্রীতি, শুভেচ্ছো ও অভিনন্দন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, আগামী দিঙ্গুলি খুব আনন্দে কাটুক’। সারা বছরের জন্য শুভ কামনা জানিয়ে এই কথাই লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নববর্ষের (Bengali New Year) সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে নেমেছে ভক্তদের ঢল, চলছে পুজো। শুরু হয়েছে বাংলার চেনা ছবি হালখাতা। আর বাড়ি, কার্যালয় সেজে উঠেছে আলপনা ও আমপাতা ও ফুলের মালায়। সেই সঙ্গে বাড়িতে খাঁটি বাঙালি রান্না বা বাঙালি ভুরি ভোজের খোঁজে রেস্তরাঁয় ঢুঁ। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে আয়োজিত হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
প্রসঙ্গত, ১৪২৮ বঙ্গাব্দের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ছিল চৈত্র সংক্রান্তি। এই দিন সন্ধ্যায় কালীঘাটে পুজো দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, রাজনীতির বাইরেও মানুষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
এদিন মমতা বলেছিলেন, দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক হয়েছে। তেমনই স্কাইওয়াক হবে কালিঘাটেও। তা নির্মাণ করতে খরচ হবে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। আরও বলেন, তা নির্মাণ করতে গিয়ে একজন হকারকেও উচ্ছেদ করা হবে না। কালিঘাট পার্কে অস্থায়ীভাবে বসুক হকাররা। নির্মাণ হয়ে গেলে সকলে আবার আগের জায়গাতেই দোকান করবেন।
পুজো দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলার সকল ভাই-বোনের মধ্যে সংহতি ও শান্তি বজায় থাকুক। সকলে মিলে নতুন বছরে একসঙ্গে ভালো থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি রেড রোডে যেমন নামাজ পড়তে যান, তেমনই যান গুরুদ্বার ও গঙ্গাসাগরে। কোনও বিভেদ করেন না। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ধর্ম ও উৎসব আসলে সম্প্রীতির কথা বলে, বিভেদের নয়। প্রতি বছর নববর্ষের আগের দিন কালিঘাটে পুজো দেন তিনি। এবছরও তার অন্যথা হয়নি, জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।