নিজস্ব প্রতিনিধি: কাঁথি পুরসভা থেকে সারদার ফাইল উধাও হওয়ার ঘটনায় সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের একটি প্রতিনিধিদল। রবিবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছন পুলিশের ৫ জনের ওই দলটি। ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলে সুদীপ্ত সেনকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
সারদার টাকা শুভেন্দু অধিকারী নিয়েছেন বলে আগেই দাবি করেছেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। তাঁর আরও অভিযোগ, বহুতল নির্মাণের জন্য কাঁথি পুরসভায় ৫০ লাখ টাকা জমা করেছিলেন তিনি। লেবার হাট তৈরি করার জন্য কয়েক লাখ টাকা খরচ করেছিলেন বলেও জানান সুদীপ্ত সেন। এরপরও বহুতলের প্ল্যান পাশ করাননি শুভেন্দু অধিকারী। সুদীপ্ত সেনের দাবি, ‘শুভেন্দু অধিকারী অনেকভাবে টাকা তুলেছে। কন্টাইতে (কাঁথি) আমাদের একটা হাইরাইজ (বহুতল) করার জন্য কাঁথি পুরসভায় ৫০ লক্ষ টাকা জমা করেছিলাম। সমস্ত কাজকর্ম করালেন। লেবার হাটের কাজ যখন শেষ করলাম তারপরেও তিনি আমাদের প্ল্যান পাশ করাননি।’ সারদা কর্তার আরও দাবি, ‘আগেও ৯০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কন্টাই পুরসভায় টাকা জমা করেছিলাম।’
সুদীপ্ত সেনের আরও দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সারদার সেই সব প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও ফাইল পুরসভায় এখন নেই বলে জানান কাঁথি পুরসভার (Contai Municipality) বর্তমান পুরপ্রধান সুবল মান্না। ২০১১ এবং ২০১২ সালে নির্মাণ সংক্রান্ত কিছু ফাইল চুরি হয়ে গিয়েছে কাঁথি পুরসভা থেকে। তার মধ্যে সারদার ওই ফাইলগুলিও ছিল। এর আগে ফাইল চুরি সংক্রান্ত মামলায় কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ চুয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিলীপ চুয়ান শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে রবিবার সুদীপ্ত সেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছন পুর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তদন্তকারী দলটি।