এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাম জমানার দুর্নীতি, ১৮ বছর পরে সুবিচার পেলেন CSTC’র বাস কন্ডাক্টর

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: এক আধ বছর নয়, সুবিচার পেতে লেগে গেল দেড় যুগ। মানে ১৮ বছর। মাঝে কেটে গেল জীবনের মূল্যবান প্রায় দুই দশকের জীবন। আর সেই সুবিচারের নেপথ্যে রয়েছে মাত্র ২২৫টাকা। বাম জমানায় কীভাবে বিরোধী মনোভাবাপন্ন সরকারী কর্মীদের জীবন নরক বানিয়ে দেওয়া হতো, সেটাই উঠে এসেছে এ রাজ্যেরই খাস এক সরকারী কর্মীর জীবনের ঘটনায়। নাম তাঁর উত্তর ঠাকুর। নিবাস উত্তর শহরতলির বরানগর এলাকায়। ছিলেন রাজ্যের সরকারি পরিবহণ সংস্থা কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা বা CSTC’র বাস কন্ডাক্টর(Bus Conductor)। ২০০৫ সালে তিনি সংস্থার কাশীপুর ডিপোতে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় একদিন CSTC’র Vigilance Team বাসে উঠে চেকিংয়ের সময় উত্তমবাবুর টিকিট ব্যাগে ২২৫ টাকা বেশি পেয়েছিলেন। টিকিট বিক্রির টাকার অঙ্কের সঙ্গে বাড়তি টাকার হিসাব না মেলায় শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছিল উত্তমবাবুর সঙ্গে। তার জেরে উত্তমবাবুর বেতন অনেকটা কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে একাধিক বৈধ ভাতা থেকেও বঞ্চিত করা হয়। সেই ঘটনার জেরেই কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) থেকে সুবিচার পেতে ১৮ বছর লেগে গেল। একই সঙ্গে সামনে এল বাম সরকারের(Leftfront Government) কদর্য রাজনীতি।

উত্তরবাবুর দাবি, ঘটনার দিন বাস নিয়ে বার হওয়ার সময় তিনি দেখেন তাঁর কাছে খুচরো পয়সা নেই। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের অসুবিধার কথা ভেবে সেই বাসেরই চালকের কাছ থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট খুচরো করে নিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন পরে হিসেব মিলিয়ে দেবেন। কিন্তু মাঝপথে CSTC’র Vigilance Team বাসে ওঠে। টিকিট বিক্রির টাকার অঙ্কের সঙ্গে বাড়তি টাকার গরমিল ধরা পড়তেই ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করে উত্তমবাবুকে শো-কজ করা হয়। উত্তমবাবু যদিও জানিয়েছিলেন চালকের থেকে ৫০০ টাকার নোট খুচরো করিয়েছিলেন, বাস চালককে জিজ্ঞাসা করলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু অভিযোগ, সেই বাস চালককে বক্তব্য পেশের কোনও সুযোগ না দিয়েই উত্তমবাবুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল CSTC কর্তৃপক্ষ। শেষে একতরফা ব্যবস্থা নিয়ে উত্তমবাবুর বেতন অনেকটা কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে একাধিক বৈধ ভাতা থেকেও বঞ্চিত করা হয়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রথমে CSTC’র চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানান উত্তমবাবু। কিন্তু কোনও সুরাহা না হওয়ায় শেষে ২০০৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ CSTC’র নির্দেশ বহাল রাখার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ফের আবেদন জানান উত্তমবাবু।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে ফের এই মামলার শুয়ানি শুরু হয়। সেই মামলায় উত্তমবাবুর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী আশীষকুমার চৌধুরী। তিনি দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ সার্ভিস রুলের ৫২ নম্বর ধারা না মেনে একতরফাভাবে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে CSTC কর্তৃপক্ষ। এরপর একাধিকবার আদালত উত্তম ঠাকুরের বিরুদ্ধে জারি করা CSTC’র ওই নির্দেশনামা সংক্রান্ত ফাইল আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেয়। মামলায় রাজ্য পরিবহণ দফতরের আইনজীবী নয়নচাঁদ বিহানি শুনানিতে দাবি করেন, সমস্ত নিয়ম মেনেই মামলাকারীর বিরুদ্ধে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও রাজ্য পরিবহণ দফতর আদালতে CSTC’র নির্দেশনামা সংক্রান্ত ফাইল পেশ করতে পারেনি। নয়নচাঁদ বিহানিও ফাইল না মেলার উপযুক্ত জবাব দিতে পারেননি আদালতে। এর পরেই বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, উত্তম ঠাকুরের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা বেআইনি। ২০০৫ সাল থেকে বেতন থেকে যে অর্থ কাটা হয়েছে তা ৩ মাসের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে অবিলম্বে তাঁকে আগের বেতন পরিকাঠামোয় ফিরিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি কোনও ভাতা থেকেও বঞ্চিত করা যাবে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ‘SET’ গঠন লালবাজারের

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

তিলজলায় প্রচন্ড গরমে পুকুরে স্নান করতে নেমে ৩ কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে এবং রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় – বৃষ্টি শুরু হবে

সুবীরেশ-কল্যাণময়কে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, তথ্য পেশ তাঁদের আইনজীবীর

চাকরি বাতিলের জেরে একাধিক  স্কুলে বন্ধের মুখে বিজ্ঞান বিভাগ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর