এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দূরত্ব বাড়ছে মমতা পাওয়ারের, গোপালকৃষ্ণে রাজি বাম-কংগ্রেস

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতি চিরকালই উত্থান-পতনের খেলা। সেখানে সেই হিসাবে সম্পর্কেরও নরম-গরম পর্যায় চলে। কেউ কাছে আসে তো কেউ দূরে সরে যায়। আর তাই রাজনীতির ময়দানে চিরশত্রু বা চিরমিত্র বলেও কিছু হয় না। আজ যে আপন কাল সে পর হতে বেশি সময় লাগে না। আবার দূরত্ব কমিয়ে বিরোধী পক্ষও পাশে এসে দাঁড়ায়। সেই ছবিটাই এবার দেখা যাচ্ছে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) অনেক আগেই দাবি তুলেছিলেন দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তুলতে যার নিয়ন্ত্রণ থাকবে না কংগ্রেসের হাতে। তুলনায় সেখানে গুরুত্ব পাবে আঞ্চলিক দলগুলি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন(Presidential Election) সেই জোট গড়ার সুবর্ণসুযোগ গড়ে দিয়েছিল। কিন্তু এখনও বিজেপি বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে প্রার্থী বাছতে পারলেন না। উল্টে সামনে এসেছে এই নির্বাচন ঘিরে মন কষাকষি শুরু হয়ে গিয়েছে মমতা ও শরদ পাওয়ারের(Sharad Pawar) মধ্যে। এমনকি প্রার্থী ঠিক করতে পাওয়ার আগামী মঙ্গলবার যে বৈঠক ডেকেছেন সেখানে যোগই দিচ্ছে না তৃণমূল।

তবে মন্দের ভালো, জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে মমতা ও তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব অনেকটাই কমেছে। কিছু আগেও যা কার্যত সাপে নেউলে হয়ে উঠেছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সেই সম্পর্কের বদল ঘটিয়েছে। মমতাকে নিয়ে কংগ্রেস তাঁর বিরোধিতার পথে থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। কেননা কংগ্রেস(INC) বুঝেছে তাঁদের পায়ের তলার মাটি ক্রমশ কমছে। তাই দাদাগিরি ছেড়ে সুসম্পর্ক গড়ে তুললে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পারে তাঁরা, অন্তত জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে। নয়তো বাংলার মতোই দুরাবস্থা হবে তাঁদের। মানে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার বিধানসভা থেকে যেমন কংগ্রেস বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে তেমনি বেশি মমতা বিরোধীতা করলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে লোকসভা থেকেও হারিয়ে যেতে পারে কংগ্রেস। এমন আশঙ্কা থেকেই মমতার সঙ্গে এখন দূরত্ব কমাতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধি। তাই তাঁরা নিজেরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না, তেমনি মমতার প্রার্থী হিসাবে উঠে আসা গোপালকৃষ্ণ গান্ধিকে সমর্থন দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।

একই অবস্থা বামেদেরও। বাংলায় বামেদের(Left) মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলেও জাতিয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতার পাশেই থাকছেন বাম নেতারা। গোপালকৃষ্ণ গান্ধিকে রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে সমর্থন করতেও রাজি হয়েছে তাঁরা। সমাজবাদী পার্টিরও সমর্থন পাচ্ছেন গোপালকৃষ্ণ। বাকি থাকা আরজেডি, আপ, শিরোমণি অকালি দল, ডিএমকে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সমর্থন গোপালকৃষ্ণ গান্ধি পাবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। তবে নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে টিআরএস, শিবসেনা ও এনসিপি-কে নিয়ে। শরদ পাওয়ার রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হতে চান না। কিন্তু তিনি এখন মমতার সব কথাতে মাথা নাড়াতেও চান না। শিবসেনাও তাঁর প্রতিই সমর্থন দেখাবে এমনটাই স্বাভাবিক। তাই সব মিলিয়ে দূরত্ব বাড়ছে মমতা ও পাওয়ারের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজভবনের ওসির কাছ থেকে  সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার  

RERA’র নির্দেশে সুদে আসলে ২১ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

এপ্রিলে মমতার বাংলায় GST আদায় বাড়ল ১৩ শতাংশ

সাতসকালে গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ‘SET’ গঠন লালবাজারের

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর