নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ভুয়ো সংস্থার ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতার আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও এবার খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি গ্রেফতার করেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। বর্তমানে তাঁরা ইডির হেফাজতে রয়েছেন। দুজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে তাঁর নামে থাকা মোট ৬টি সংস্থার সন্ধান মিলেছে। রিয়েল এস্টেটের পর টেক্সটাইল সংস্থারও গোয়েন্দারা হদিশ পেয়েছেন বলে খবর। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টেক্সটাইল সংস্থায় কাজে লাগানো হত বলেই অনুমান করা হচ্ছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত ইডির গোয়েন্দারা অর্পিতা ও তার সংস্থার মোট ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছেন ইডির গোয়েন্দারা।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কীভাবে পৌঁছত, তা জানতে চান গোয়েন্দারা। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকার উৎস কী, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জেরায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে ইডির নজরে রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এমন কয়েকজন ছাত্রনেতা। ইডি সূত্রের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের কথা বলিয়ে দিতেন এবং টাকা নিতেন এই ছাত্র নেতারাই। ৫ ছাত্রনেতার আয়-ব্যয়ের ও সম্পত্তির খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা।