নিজস্ব প্রতিনিধি: অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) মঙ্গলবার সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের (Police Custody) নির্দেশ (Order) দিয়েছে দুবরাজপুর আদালত (Dubrajpur Court)। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।
সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ইডির আবেদন মঞ্জুর করেছে। তার তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু সেই আবহে এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে কেষ্টকে গ্রেফতার করে বীরভূম জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। আদালতে তুলে কেষ্টকে রাজ্য পুলিশের তরফে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। দুবরাজপুর আদালত সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় কেষ্টকে। যার ফলে বিপাকে পড়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দুবরাজপুর আদালতের নির্দেশের পর আপাতত কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি। আর তাই কীভাবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে তা নিয়ে নতুন করে পথ খুঁজছেন গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে অনুব্রত মণ্ডলকে কী ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা নিয়ে এবার হাকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
উল্লেখ্য রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডলকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে কেষ্টর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন শিবঠাকুর। সেই খবর অনুব্রত মণ্ডল জেনে যান। আর তারপর তাঁকে মারধর করেন কেষ্ট। তাঁকে দুবরাজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ডেকে এনে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুবরাজপুরের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবঠাকুর বিষয়টি নিয়ে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর সেই মামলায় বীরভূম জেলা পুলিশ তদন্ত শুরু করে।