নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপি নেতাদের ‘আবদার’ মেনে সোমবার আচমকাই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের (সিইও) দুই সিনিয়র আধিকারিককে সরিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ওই দুই আধিকারিক হলেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায় চৌধুরী এবং যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাহুল নাথ। দুজনের পরিবর্তে নতুন আধিকারিকদের নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারকে সুপারিশ পাঠাতে বলা হয়েছে। লোকসভা ভোটের মুখে আচমকাই সিইও দফতরের দুই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নির্বাচন সদনের এক মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন একই পদে থাকায় দুই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার পরেই বঙ্গ বিজেপি নেতাদের অপছন্দের আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়ার খেলার আদাজল খেয়ে নেমেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। যিনি কর্মজীবনে আমলা মহলে বিজেপির কট্টর ক্যাডার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভজনাকারী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। বিজেপির প্রতি রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণেই নির্বাচন কমিশনারের পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন বলে দিল্লির নির্বাচন সদনের অলিন্দে জোর চর্চা।
সম্প্রতি রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায়চৌধুরী ও যুগ্ম সিইও রাহুল নাথের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতাদের। বিশেষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি দাবি করেন, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এই আধিকারিকরা দায়িত্বে থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। এদিন আচমকাই সেই অভিযোগে সিলমোহর দিলেন রাজীব কুমার ও তার দুই সহকারী। যদিও নির্বাচন কমিশনের এক মুখপাত্রের দাবি, যাদের সরানো হয়েছে তাদের একজন ১০ বছর ও অন্যজন ছয় বছর একই পদে রয়েছেন। তাই সরানো হয়েছে। তাহলে কেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব দীর্ঘদিন ধরে একই পদে থাকলেও তাঁকে সরানো হলো না, তা নিয়ে কোনও জবাব দিতে চাননি তিনি।