নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দশমীতে মায়ের বিসর্জনের সুরে হৃদয় আকুল। এই পুজো বাঙালির আবেগের, ঐতিহ্যের, সংস্কৃতির বার্তাবহ। মঙ্গলবার দশমীতেই একাধিক পুজো বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কাঠামোগুলি তুলে ফেলে পুরসভা। তবে ভাসানের পর ক্রেনে করে কাঠামো তুললে অনেকের আবেগে দুঃখ লাগে। তাই পরের বছর থেকে ভাসানকুলির সংখ্যা বাড়াতে চান বলে জানালেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আগামী বছর থেকে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বেশি করে ভাসান কুলিকে নেওয়া হবে। তারাই প্রতিমার কাঠামো দ্রুত জল থেকে তুলে নেবেন। তাঁরা সেটিকে পাড়ে তুলে দেবেন। সেখান থেকে পুরসভার কর্মীরা প্রতিমার কাঠামো তুলে নেবে। যে কাঠামোকে পুজো করা হল, সেই কাঠামোকে যে ভাবে তুলে ফেলা হয় তা অনেকের আবেগেও দুঃখ দেয়। এছাড়া ক্রেনে করে তুলতে যে সময়টা লাগে, তার অনেক আগেই ভাসান কুলিরা এই প্রতিমা তুলে নিতে পারবেন। তাই গঙ্গার জলের দূষণ ও দৃশ্য দূষণ রুখতে এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
গঙ্গার সবক’টি ঘাটের মধ্যে জাজেস ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট এবং নিমতলা ঘাটে বেশি বিসর্জন হয়। তিনটি ঘাটে মোট চারটি ক্রেন থাকবে। বাজে কদমতলা ঘাটের ভাসমান বার্জের উপর একটি ক্রেন থাকবে। পাড়েও একটি ক্রেন থাকবে। নিমতলা এবং জাজেস ঘাটে পাড়ের উপরে একটি করে ক্রেন থাকবে। জলে প্রতিমা পড়লেই ক্রেনে কাঠামো তুলে নেওয়া হবে। ঘাটগুলিতে পুরসভার পর্যাপ্ত কর্মী, পর্যাপ্ত পুলিশ ব্যবস্থা থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।