নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার কান ঘেঁষে থাকা ৪১টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট বিধাননগর পুরনিগমে ভোট করানোর জন্য বিরোধীরা বার বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলেছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশের ওপরেই আস্থা রেখেছিল। এমনকি আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণ ও একাধিক মামলার পরেও রাজ্য পুলিশের ওপর থেকে নিজেদের আস্থা সরিয়ে নেয়নি কমিশন। সেই আস্থা রাখা যে ভুল ছিল না সেটা শনিবার বিধাননগর পুরনিগমের মোটের ওপর শান্তিপূরড়ণ নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়ে গেল। শুধু তাই নয়, কমিশনের আস্থায় যেত বিন্দুমাত্র চিড় না ধরে তার জন্য রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদেরও বেশ কড়া মনোভাবে এদিন সকাল থেকেই ভোট পরিচালনা করতে দেখা গিয়েছে। তার জেরেই এদিন বিকাল ৪টে পর্যন্য পুলিশের হাতে ৪৬জন গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।
বিধাননগরে যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয় তার জন্য ৩ হাজার পুলিশকর্মী আধিকারিক নিয়োগ করা হয় এই এলাকায়। তার পাশাপাশি নামানো হয়েছিল কুইক রেসপন্স টিমও। সিভিক ভলেন্টিয়ারের জায়গায় ছিল লাঠিধারী হোমগার্ড। তাছাড়া প্রতিটি বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হয়েছিল সশস্ত্র পুলিশকর্মীদের। কার্যত এদিন সকাল থেকেই পুলিশকর্মীদের দেখেই বোঝা গিয়েছিল কমিশন তাঁদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেই চলতে বলেছে। যদিও সল্টলেকে বেশ কিছু বুথে এদিন বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন যে পুলিশের সামনেই জাল ভোটারদের দিয়ে ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে। যেখানেই অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কিন্তু সেখানেই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে আর তার জেরেই এদিন বিকাল পর্যন্ত ৪৬জন গ্রেফতার হয়েছে পুলিশের হাতে। আর পুলিশের এই কড়া মনোভাব দেখে বিধাননগরে নির্বিঘ্নে আমজনতা ভোট দিয়েছেন নিজের নিজের বুথে গিয়ে। আর তার জেরেই বিকালে এই পুরনিগম এলাকায় ভোটদানের হার দাঁড়ায় প্রায় ৭০ শতাংশ।