নিজস্ব প্রতিনিধি: সাহায্য না করেও মিথ্যা দাবি করেছিল এক ‘স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং সংস্থা’। শুধু তাই নয়, সংস্থার তরফে সংবাদপত্রে চিকিৎসক পড়ুয়ার ছবি দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছিল মিথ্যা ভাষণের বিজ্ঞাপনও! যা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট ওই পড়ুয়া। সুরাহা পেতে দ্বারস্থ হয়েছিল ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের। আর তাতেই মিলল সুরাহা, পড়ুয়াকে ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা ফেরাতে বাধ্য হল ওই স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং সংস্থা।
প্রতারিত চিকিৎসক পড়ুয়া ঋজুতা দে পূর্ব কলকাতার আনন্দপুরের বাসিন্দা। সে এমবিবিএস পাস করেছে মণিপালের কস্তুরবা মেডিকেল কলেজ থেকে। ঋজুতা’র অভিযোগ, ডক্টর অফ মেডিসিন (এমডি) কিংবা মাস্টার অফ সার্জারি (এমএস) ডিগ্রি করার জন্য একটি কলকাতার এক স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সংস্থা ঋজুতাকে জানায় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তারা মাইশুরুর জেএসএস মেডিক্যাল কলেজে তাকে সুযোগ পাইয়ে দেবে। কিন্তু ঋজুতার অভিযোগ, কোনও সুযোগই দেয়নি ওই সংস্থা। যদিও নিজের যোগ্যতার বলে তিনি হরিয়ানা মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পান। মাস্টার অফ সার্জারিতে তিনি পড়ার সুযোগ পান ঋজুতা। তবে ততদিনে ওই সংস্থাকে কাউন্সেলিং এর জন্য খরচ বাবদ ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছে সে।
একদিন সকালে হঠাৎ খবরের কাগজে নিজের ছবি-সহ এক মিথ্যা ভাষণের বিজ্ঞাপন দেখতে পায় ঋজুতা দে। যেখানে ঋজুতার ছবির সঙ্গে লেখা রয়েছে, ‘আমায় অ্যাডমিশনে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ।’ কোনও সাহায্য না করার পরেও এমন বিজ্ঞাপন দেখে ওই ছাত্রী পশ্চিমবঙ্গ ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে ডাক্তারি পড়ুয়ার কাছ থেকে নেওয়া ৯ লাখ ১০ হাজার টাকার পুরোটাই ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় অভিযুক্ত সংস্থাকে। এরপর পুরো টাকাই ফেরত দেয় ওই সংস্থা। শুধু টাকা ফেরত নয়, তারা দুঃখ প্রকাশ করে আরও লিখেছে ‘বিনা অনুমতিতে বিজ্ঞাপন ছাপানো উচিত হয়নি। আমরা দুঃখিত।’