নিজস্ব প্রতিনিধি: সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। এবার এপ্রিল মাস থেকেই তা লাগু হতে চলেছে রাজ্যজুড়ে। রেশন গ্রাহকদের(Ration Consumers) চোখ স্ক্যান করে আধার নম্বর যাচাই(Aadhar Number Verifing) ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে চালু করতে চলেছে রাজ্য খাদ্য দফতর(Food Department)। তার আগে মার্চ থেকেই দেশের মধ্যে প্রথম প্রতি জেলা এবং শহরাঞ্চলে বিধিবদ্ধ রেশনিং এলাকায় পাঁচটি করে দোকানে পাইলট প্রকল্প চালুর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। দেশের কোথাও এখনও এই ব্যবস্থা চালু হয়নি। বাংলাই এক্ষেত্রে কার্যত দেশকে পথ দেখাল। রেশনের গ্রাহকদের আধার নম্বর যাচাই করতে এখন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ বা নথিভুক্ত মোবাইলে আসা ওটিপি নেওয়া হয়। গ্রাহকের বয়সসহ নানা কারণে এভাবে আধার যাচাই করতে গিয়ে প্রায়ই সমস্যা হয়। আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যুক্ত না-থাকলে হয়রানি হয় আরও। আধার যাচাইয়ের দু’টি ব্যবস্থা চালু থাকলে এই হয়রানি কমবে বলে রাজ্যের খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের দাবি। তাঁদের আরও আশা এই ব্যবস্থা লাগু হয়ে গেলে রাজ্যে রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় বাড়বে স্বচ্ছতাও।
আরও পড়ুন বঙ্গ বিজেপিতে জেলা সভাপতিদের মাথায় বসছে ‘Incharger’রা
জানা গিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় অর্থাৎ রেশন গ্রাহকদের চোখ স্ক্যান করে আধার নম্বর যাচাই ব্যবস্থা লাগু করার জন্য রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত কোনও খরচ হবে না। এই ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থা মেশিন বসানোর খরচ বহন করবে। খাদ্যশস্যের পরিমাণের ওপর তারা নির্ধারিত হারে কমিশন পাবে। তবে এই ব্যবস্থা লাগু হওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। তিনি জানিয়েছেন, আই স্ক্যানার ব্যবহারে কোনও প্রশিক্ষণ এখনও ডিলারদের দেওয়া হয়নি। প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সুবিধা-অসুবিধা বোঝা যাবে। তবে এখন বহু গ্রাহকের আধার যাচাই করতে সমস্যা হচ্ছে। রাজ্য খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন ৯৫ শতাংশর বেশি ক্ষেত্রে গ্রাহকদের আধার যাচাই করা হচ্ছে। আই স্ক্যানারে আরও কাজের সুবিধা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারও আই স্ক্যানার(Eye Scanner) এবং ই-পস মেশিনের সঙ্গে ওজন যন্ত্র চালু করতে বলছে। তবে কিছু মডেল দোকানে নতুন ব্যবস্থা চালু হোক এটা চাইছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকার ২১ হাজার রেশন দোকানকে দ্রুত এই ব্যবস্থার আওতায় আনতে চায়।