নিজস্ব প্রতিনিধি: সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। এই প্রবাদ বাক্যকেই রপ্ত করে প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। গোটা দেশ এমনকি বিদেশের মানচিত্রে গঙ্গাসাগর মেলার একটি আলাদা ঐতিহ্য আছে। সেটাকেই মাথায় রেখেই গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে বিশেষ উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। কোনও ত্রুটি নয়, সবদিক দিয়ে মেলা প্রাঙ্গনকে সাজাতে ও ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনকে রাস্তায় নামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরে গঙ্গাসাগরের মেলার দিন ১৫ জানুয়ারি। কিন্তু ১২ জানুয়ারি থেকেই মেলা প্রাঙ্গনে ভিড় বাড়বে। তাই গঙ্গাসাগরের দুই প্রান্তে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও সাংসদদের পাশাপাশি মন্ত্রীদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সভাঘর থেকে সোমবার মমতা নির্দেশ দিয়েছেন, পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায়, বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা, বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ও সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীকে মেলার দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ‘আবহাওয়া খারাপ বলে আমি কালই গঙ্গাসাগরে যাব। সমস্ত পরিস্থিতি ও মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখব। ববি তুমি দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। সুব্রত বক্সীদাকেও নেবে, কারণ হাওড়া-হুগলি-উত্তর ২৪ পরগনা থেকে অনেক বাস আসে। জেলার সভাপতিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিষয়টি বুঝে নিতে হবে। গঙ্গাসাগর এলাকার সমস্ত বিধায়ককে দায়িত্ব নিতে হবে। সুব্রত দা খুব ভালোভাবে গঙ্গাসাগর মেলাটা নিয়ন্ত্রণ করত, এবার সব দায়িত্ব তোমার কাঁধে পুলক।’
এছাড়াও মেলাতে বহু বাইরের মানুষ ভিড় করবে তাই, মেলা প্রাঙ্গনে করোনা বিধি ও ময়দানে আরটিপিসিআর টেস্টের ক্যাম্প খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গনেই ৬০০ বেডের করোনা হাসপাতাল ও আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।