নিজস্ব প্রতিনিধি: এগরা বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্যের তদন্তের ওপরেই ভরসা রাখলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস(C V Ananda Bose)।রাজ্যপালকে বুধবার একটি অনুষ্ঠানে এগরা বিস্ফোরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ,এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, এটা হওয়া উচিত ছিল না। এটা একটা ক্রাইসিস। প্রশাসনিক সব স্তরে একসঙ্গে কাজ করছে । তদন্ত চলছে। যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
বুধবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের লেখা বইয়ের শুভসূচনা ছিল। রাজভবনে রাজ্যপালের লেখা বইয়ের মোড়কের উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ঠ লেখক ও সহিতিকরা। রাজ্যপালের লেখা একাধিক বইয়ের লঞ্চিং সেরেমনি অনুষ্ঠানে এদিন অনুষ্ঠিত হয়। ইংরেজি, মালয়ালম ও হিন্দি সহ ৩২টি বইয়ের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তার নতুন মালয়ালম ভাষায় লেখা বই অকশারা পুজায়িলাম এদিন উন্মোচন হয় । সাহিত্যিক মনিশংকর মুখোপাধ্যায় রাজ্যপালকে লাট সাহেব বলে সম্বোধন করেন। বিশিষ্ঠ লেখক ও সাহিতিক মনিশংকর মুখোপাধ্যায়(Monisankar Mukhopadhay) বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যে, আমি আশা করি নি যে আমি লাট সাহেবের বইয়ের শুভসূচনা অনুষ্ঠানে থাকতে পারব। রাজ ভবন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি বলেন, এশিয়াটিক সোসাইটি আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছে। তিনি আরোও বলেন, সব কিছুর সীমা থাকার দরকার।
লেখিকা বেবি হালদার(Baby Haldar) সেদিন তার বক্তব্যে বলেন,আমি একটা কাজে মেয় ছিলাম। আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে দিয়েছিল। লোকের বাড়ির কাজ ছাড়া কিছু জানতাম না। বাবা চাইলে অনেক কিছু করতে পারতাম। কিন্তু বাবার অত্যাচারে মা চলে গিয়েছিলেন। আমাদের উপরে অত্যাচার আরো বেশি হত। ছোট বেলায় বিয়ে দিয়ে দেওয়া হল। তার পরে তিনটে সন্তান হয়ে গিয়েছিল। তাদের কে নিয়ে দিল্লি চোলে গেলাম। সেখানে দিল্লিতে লোকের বাড়ির কাজ শুরু করলাম। সেই বাড়ির মালিক হাতে কলম ধরিয়ে ছিলেন। প্রবোধ কুমার বাড়ির মালিক তিনিই আমাকে সাহায্য করেছিলেন উৎসাহ দিয়েছিলেন। কলাম হাতে দিয়ে লিখতে বললেন। আমার লেখার পর তিনি আমার মাথায় হাত দিয়ে বললেন যে খুব ভালো লিখেছো। এই ভাবে আমার লেখা শুরু হয়। পাণ্ডুলিপি থেকে আমার লেখা শুরু হয়। তখন আমি মনে করেছি যে আমি স্বপ্ন দেখছি। বইয়ের সাথে সাথে আমিও উড়ছি। তার পরে আমার জীবনের উডান শুরু হয়। আমার তিনটি বই ১৭ টি বিদেশি ভাষায় বই রূপান্তরিত হয়েছে। আমি এখনও লিখে যাচ্ছি। আমি আজকে মাননীয় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কাছে ঋণী হয়ে গেছি। আমি একজন শ্রমজীবী লেখক। যারা শ্রম করেন তাদের কে আমি খুবই সম্মান করি বলেন লেখিকা বেবি হালদার।
ইংরেজি এবং বাংলায় ভাষায় বই রূপান্তরিত করা হয়েছে। বাংলা ভাষার রাজ্যপালের বই রূপান্তরিত করেছেন প্রফেসর সোমা বন্দোপাধ্যায়।এদিন বি আর আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন। শেখর বন্দোপাধ্যায় রাজ্যপালের লেখা কবিতাকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন।