নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রীর (CM) বাড়ি সংলগ্ন অঞ্চলে এর আগেও বারবার ঢুকেছিল হাফিজুল। আর সেখান থেকেই চলত তথ্যপাচার। এমনটাই দাবি সিটের (SIT)। সিট এই তথ্য সোমবার আলিপুর আদালতে পেশ করেছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, ধৃতের সঙ্গে যোগ রয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের। শুধু তাই নয় ধৃতের সঙ্গে যোগ রয়েছে বাংলাদেশেরও।
তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সংলগ্ন অঞ্চলে ৭-৮ বার ঢুকেছিল ধৃত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (MAMATA BANERJEE) বাড়ির এলাকা জুড়ে হাফিজুল বারবার চালাত রেইকি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির একাধিক ছবি তুলে তা পাঠানো হত হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। ধৃতের যোগ ছিল পাশের রাজ্য বিহার ও ঝাড়খণ্ডে। এমনকি যোগ ছিল বাংলাদেশের সঙ্গেও। গত বছর দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় নৌকায় করে নদী পেরিয়ে বাংলাদেশেও গিয়েছিল হাফিজুল। ধৃতের সঙ্গে জড়িত ২০-২১ জনের চক্র। জেরা করা হচ্ছে, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকেছিল কি না হাফিজুল, তা নিয়েও।
হাফিজুল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকার তথ্য সংগ্রহ করত স্থানীয় শিশুদের কাজে লাগিয়ে। এই তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে শিশুদের ‘হাত’ করেছিল চকলেট ও কোল্ড ড্রিংস দিয়ে। সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছে এই ছবি। ধৃত সমস্ত কিছুই স্বীকার করেছে বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ১ টি মোবাইল। ওই মোবাইলে ১১ টি সিমকার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল। বিভিন্ন সিমকার্ড বদলে চলত বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ।
উল্লেখ্য, এর আগেও নবান্নে ঢোকার চেষ্টা করেছিল ধৃত। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গত ২ জুলাই, শনিবার রাতে লুকিয়ে প্রবেশ করেছিল ধৃত যুবক, তার জামার ভেতরে লুকানো ছিল লোহার রড। ধৃত হাফিজুল মোল্লার (৩২) বাড়ি বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার আষাড়িয়া নারায়ণপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, ধৃতের বাবা পেশায় কৃষক। ধৃতের আরও তিন ভাই রয়েছে। আছে স্ত্রী এবং কন্যা। ধৃতের দাবি ছিল, তার পেশা গাড়ি চালানো। হাফিজুলের পরিবারের দাবি ছিল, তার মানসিক সমস্যা রয়েছে। তার তদন্তে নেমে তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে এল বিস্ফোরক তথ্য।