নিজস্ব প্রতিনিধি: আরও একবার পূর্ব কলকাতার(Kolkata) চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের(Chingrighata Flyover) স্বাস্থ্যপরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল Kolkata Metropolitan Development Authority বা KMDA। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর রাজ্যের সবকটি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। সেই সূত্রেই কলকাতা ও তার আশেপাশে রাজ্যের পূর্ত দফতর, Hooghly River Bridge Commission বা HRBC এবং KMDA’র অধীনে যত উড়ালপুল বা সেতু রয়েছে সেগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে গত ২-৩ বছরে। সেই সময় চিংড়িঘাটা উড়ালপুলেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু এখন নতুন করে আবারও সেই পরীক্ষা বা Health Monitoring করা হবে এই উড়ালপুলের। সেই সঙ্গে সেতুতে বসানো হবে কম্পন মাপক যন্ত্র বা Vibration Meter। সেতুতে যানবাহন চালাকালীন সময় কতটা কম্পন হচ্ছে এবং তা সেতুর স্বাস্থ্যে কী প্রভাব ফেলছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
KMDA সূত্রে জানা গিয়েছে, চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের ওপর চাপ কমাতে এবং দ্রুত নবান্নের দিক থেকে নিউটাউন হয়ে বিমানবন্দর পৌঁছানোর জন্য ই এম বাইপাসের মেট্রোপলিটান থেকে যে নতুন উড়ালপুল নির্মাণের ক্তহা ছিল, তা অর্থাভাবে দেরীতে নির্মাণ শুরু হবে। সেই কারণেই রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি করে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল ভেঙে ফেলতে চাইছে না। এর আগেই এই উড়ালপুলে একাধিকবার ফাটল ধরেছে। শুধু তাই নয়, এই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় সেতুর হাল যে রীতিমত খারাপ তাও বিশেষজ্ঞদের নজরে আসে। ২০১৯ সালে হওয়া এই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েই দিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে এই উড়ালপুল ভেঙে ফেলতে হবে। কেননা এই উড়ালপুল নির্মাণের সময়েই তাতে ত্রুটি ছিল। তার জেরেই বার বার সেতুতে চিড় ধরা পড়ছে বা ফাটল দেখা দিচ্ছে।
সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেট্রোপলিটন থেকে নিউটাউন পর্যন্ত নতুন একটি উড়ালপুল নির্মাণ করা হবে। কিন্তু অর্থাভাবে সেই উড়ালপুল নির্মাণের কাজ দেরীতে শুরু হবে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। আর এই কারণেই রাজ্য সরকার এখন তড়িঘড়ি করে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল বন্ধ করে দিতে চাইছে না। পরিবর্তে এই সেতুর হাল এখন ঠিক কেমন আছে তা খতিয়ে দেখতে আরও এক দফা এই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সেতুর কম্পনের মাত্রা যাতে নিয়মিত ভাবে লক্ষ্য রাখা যায় তার জন্য সেতুতে Vibration Meter বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাফলের ফলে কতটা ওজন পড়ছে বা প্রতিক্ষণে কতটা কম্পন হচ্ছে, সেটা ধরা পড়বে এই যন্ত্রে। তার জেরে উড়ালপুলে কী কী সমস্যা হচ্ছে, সেটাও বোঝা যাবে। কার্যত ধারাবাহিকভাবে তাতে সেতুর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা যাবে। Vibration Meter’র মাধ্যমে কম্পনের রিডিংও নেওয়া হবে।