নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালির ঘটনায় এবার হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে তদন্ত করার নির্দেশ দিল আদালত। জমি দখল থেকে ধর্ষণ সব ঘটনা তদন্ত করবে। নতুন করে ই-মেইল আইডি তৈরি করে অভিযোগ জমা নিতে সিবিআইকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। গোটা প্রক্রিয়াটা হাইকোর্টের(High Court) নজরদারিতে চলবে বলে জানানো হয়েছে। সন্দেশখালির স্পর্শকাতর এলাকা গুলিতে প্রচুর পরিমাণে জোরালো এলইডি আলো রাতের অন্ধকার খোঁচাতে এবং বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি (CCTV)ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২’মে সিবিআইকে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সন্দেশখালিকান্ডে সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। সন্দেশখালি এলাকায় নতুন করে যে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও জোরালো আলো লাগানো হবে, তার খরচ ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, সন্দেশখালিকান্ড নিয়ে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলাগুলি নিজে শোনেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিব জ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। ডিভিশান বেঞ্চের পূর্ণ পর্যবেক্ষণে সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তের প্রয়োজন তাতে নিশ্চিত আদালত। তাই হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মামলার সব পক্ষকে সিবিআই -এর কাছে অভিযোগ জমা দিতে হবে। অভিযোগকারী গোপনীয়তা বজায় রাখতে নতুন করে ই-মেইল(E-Mail) আইডি চালু করবে সিবিআই। ওই ইমেইল আইডির কথা সবাইকে জানাতে হবে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসককে। স্থানীয় ভাষায় দৈনিক সংবাদপত্র মানুষকে অবহিত করতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের(HighCourt)। আগামী ২’মে হাইকোর্টে এই বিষয়ে কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। একি ই সঙ্গে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ঐ দিন। আদালত এও জানিয়ে দিয়েছে, প্রয়োজন হলে কোন ব্যক্তি সংস্থা সরকারি কর্তৃপক্ষ পুলিশ কর্তৃপক্ষ এমন কি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যদি আগ্রহী থাকে তাদের কাছ থেকে তথ্য ও মতামত নিতে পারবে সিবিআই।
একই সঙ্গে সন্দেশখালিতে জমি হস্তান্ত চাষের জমিকে ভেড়িতে পরিবর্তন এই ধরনের যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করে বিস্তারিত রিপোর্ট জানাতে হবে সিবিআইকে(CBI)। সিবিআই যে রিপোর্ট পেশ করবে তার ওপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। সন্দেশখালিতে স্পর্শকাতর এলাকায় যে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে এই এলাকা গুলি উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক পুলিশ সুপার ও স্থানীয় প্রশাসনকে একসঙ্গে মিলে চিহ্নিত করতে হবে। অন্ধকার দূর করতে বিভিন্ন রাস্তায় বসা তবে এলইডি আলো। এছাড়া আইন অনুযায়ী নির্যাতিত ক্ষতিগ্রস্ত এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য পুলিশকে সমস্ত রকম নির্দেশ দিতে পারবে সিবিআই। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে আদালতের পর্যবেক্ষণে সন্দেশখালি মামলার হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে মাথায় রেখে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছিল। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরে আদালত সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআইয়ের গোটা তদন্ত প্রক্রিয়াটা হাইকোর্টের নজরদারিতেই হবে।