নিজস্ব প্রতিনিধি: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দু’বার অকৃতকার্য হয়েছিল ওই ছাত্র। তৃতীয়বার পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বাঁশদ্রোণীর প্রগতি পার্কের শিবম অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা বছর তেইশের তরুণ রবীন দেবনাথ। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল মর্মান্তিক পরিণতি। মঙ্গলবার রাতে রান্নাঘরের সবজি কাটার ছুড়ি পেটে চালিয়ে আত্মঘাতী হল ওই তরুণ। যদিও এর পিছনে পরিবারের আর্থিক অনটনকেও দায়ি করছেন প্রতিবেশীদের একাংশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনে কাজ হারান আত্মঘাতী ছাত্রের বাবা সুশোভন দেবনাথ। আয়ার কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন মা। এই পরিস্থিতিতেও প্রাইভেটে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল রবীন। কিন্তু আর্থিক অনটনের জেরে পরিবারে নিত্য অশান্তি হত। মঙ্গলবার রাতেও তুমুল ঝগড়া হয় বলে দাবি প্রতিবেশীদের। এরমধ্যেই আচমকা রান্নাঘরে ঢুকে সবজি কাটার ছুড়ি নিজের পেটেই একাধিকবার চালিয়ে দেয় ওই ছাত্র। চিৎকার শুনে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। তাঁরাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে যায় রবীনকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান চূড়ান্ত হতাশা থেকেই এই কাজ করেছে ওই তরুণ। যদিও পরিবার এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।