নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুলিশের মানবিক মুখ দেখল শহর। বৃহস্পতিবার যখন দুর্গা পুজোর শোভাযাত্রায় ব্যস্ত শহর, সেই সময় ফুটপাতবাসী এক মহিলার প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। রাস্তায় কন্যা সন্তান প্রসবের পর ওই মহিলা ও সদ্যোজাত শিশুকন্যার চিকিৎসার ব্যবস্থা করল কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম রানি দাস। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও ধর্মতলার সংযোগস্থলের কাছে চৌরঙ্গী স্কোয়ারে ফুটপাথে শুয়ে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন ওই মহিলা। ওই রাস্তায় ডিউটিরত হেডকোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ডের অতিরিক্ত ওসি ইন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ও ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট প্রণব দেবনাথের নজরে আসে বিষয়টি। তাঁরা গিয়ে দেখেন ফুটপাতেই ওই মহিলা কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। এরপর পুলিশ আধিকারিকরা ওই মহিলার চিকিৎসার প্রয়োজন বলে মনে করেন। তড়িঘড়ি একটি শিশু কল্যাণ সংস্থাকে খবর দেয় পুলিশ। খবর পেয়ে ওই শিশু কল্যাণ সংস্থা ঘটনাস্থলে আসে। ট্রাফিক আধিকারিকরা পুলিশের নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে পাঠায়। সেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মা ও সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের নজরদারিতে রয়েছেন মা ও মেয়ে। দুজনেরই নিয়মিত খবর রাখছে পুলিশ।
এই গোটা ঘটনাটি কলকাতা পুলিশের তরফে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজেও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফেসবুক পেজে কলকাতা পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে, ‘চৌরঙ্গী স্কোয়ারে ভিক্টোরিয়া হাউজের কাছে আজ ডিউটিতে ছিলেন ইন্সপেক্টর ইন্দ্রনাথ মুখার্জি (অ্যাডিশনাল ওসি, হেডকোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ড) ও তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট প্রণব দেবনাথ। খবর আসে, কাছেই প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছেন ফুটপাথবাসী এক মহিলা, ডাক্তারের সাহায্য লাগতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে দুজনে ছুটে গিয়ে দেখেন, ততক্ষণে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেছেন ওই মহিলা, তবে বোঝা যাচ্ছে চিকিৎসার প্রয়োজন। সময় নষ্ট না করে একটি কর্মা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন তাঁরা, এবং যোগাযোগ করেন একটি শিশু কল্যাণ সংস্থার সঙ্গে। পাশাপাশি সরিয়ে দেন কৌতূহলী জনতার জটলাও। শেষমেশ দুটি অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় মা ও মেয়েকে।’