নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার অগ্নিকন্যার রাজনৈতিক সাফল্যে কী হিংসায় জ্বলছেন বাংলার রাজ্যপাল! এই প্রশ্নটা উঠেই গেল খোদ রাজ্যপালের মন্তব্যে। রবিবার বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় দার্জিলিং যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমন কথা বলে ফেললেন যা দেখেশুনে এখন রাজ্যবাসীর মনে হতেই পারে তৃণমূলনেত্রীকে রীতিমত হিংসা করতে শুরু করে দিয়েছেন বাংলার ছোটলাট। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন জাতীয় স্তরেও যেভাবে মোদি বিরোধী মুখ হয়ে উঠছেন, যে ভাবে বলে বলে প্রতিটি নির্বাচনে বাংলায় মোদি বাহিনীকে হারাচ্ছেন, যেভাবে একের পর এক দেশ থেকে ডাক পাচ্ছেন তা দেখে হিংসায় রাজ্যপালের গা জ্বলছে। সম্ভবত তার জেরেই তিনি এদিন সাংবাদিকদের সামনে বলে বসলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করবেন। উনি ওঁকে রাজ্যপালই করে দিন না!’
বস্তুত রাজ্যপাল এদিন আবারও জানিয়েছেন, তিনি হাওড়া ও বালি পুরসভার নতুন বিলে সই করেননি। সেই বিলটি এখনও বিবেচনাধীন আছে। বস্তুত রাজ্যপালের এই অবস্থান এখন হাওড়া ও বালির পুরনির্বাচনের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যপাল বিলে সই না করায় সেখানে পুরভোট করাতে পারছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশনও। ফলে এই দুই পুরভাতেই এখন রাজ্যপাল বিরোধী ক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে। এদিন দার্জিলিং যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সামনে বিষয়টিকে নতুন করে হাজির করে রাজ্যপাল কার্যত বুঝিয়ে দিলেন, তিনি বিল আটকেই রাখবেন। মানুষকে পুরপরিষেবা থেকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যেই তাঁর এহেন অবস্থান বলে এখন মনে করছে তৃণমূল। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল করে দেওয়ার প্রসঙ্গে ধনখড়ের মন্তব্যকে এদিন একহাত নিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপাল পদটি সাংবিধানিক পদ। কিন্তু জগদীপ ধনকর সেই পদকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছেন। তাঁর আচার-আচরণ, কথাবার্তা, সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপ সবই বিজেপি কার্যনির্বাহী সভাপতির মতো।