নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুরভোটে নির্বিঘ্নে ভোট হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় বিরোধীরা। রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ এমনকি নির্বাচন কমিশন বারবার আশ্বস্ত করলেও চিন্তা রয়েছে বিরোধীদের। বিজেপির তরফে আবার তো সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়া হয়েছে পুরভোটের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে বারবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এর মাঝেই পুরভোট নিয়ে সকলকেই আশ্বস্ত করলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র। শনিবার তিনি জানিয়েছেন, ‘কলকাতা পুরভোট নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। নির্বিঘ্নেই ভোট হবে, সকলেই ঠিক ভোট দিতে পারবেন। কলকাতা পুলিশ একটি পেশাদারি সংস্থা। প্রচুর ভোট করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই কীভাবে ভোট করাতে হয় ভালো জানে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশ। ভোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতেই কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে কাজ করবে।’
পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বারবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করতে থাকে রাজ্যপাল। বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে বারবার পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বায়না করতে থাকেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে পুলিশই ভোট মোকাবিলায় যথেষ্ট। আসন্ন কলকাতা পুরসভার ভোটে মোট ২৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ১৪৪টি ওয়ার্ডের ৪ হাজার ৭৪২টি বুথের মধ্যে ২৫ শতাংশ বুথে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। তবে বুথে ওয়েবকাস্টিং হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। পাশাপাশি শুধুমাত্র ভোটের দিন মোতায়েন করা হচ্ছে ২৩ হাজার পুলিশ কর্মী ও আধিকারিককে। ভোট গণনার দিন আলাদা বাহিনী থাকবে। তাছাড়া প্রতিটি প্রার্থী যাতে নির্বিঘ্নে প্রচার করতে পারেন, তার জন্যও বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি বুথে দুজন সশস্ত্র পুলিশ কর্মী মোতায়েনের কথা। পাশাপাশি গোলমাল রুখতে ৭৮টি ক্যুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) কাজ করবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৭২টি আরটি মোবাইল ও ৩৫টি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড (আরএফএস) রাখার কথাও জানানো হয়েছে।