নিজস্ব প্রতিনিধি: কড়া নিরাপত্তার বলয় এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (CM) বাড়িতে লুকিয়ে ঢুকেছিলেন এক ব্যক্তি। রাত্রি ১ টা ২০ মিনিটে ঢুকে লুকিয়ে ছিলেন দীর্ঘ সাড়ে ৭ ঘণ্টা। সকালে চোখে পড়ে গাড়ির ড্রাইভার ও নিরাপত্তারক্ষীদের। বর্তমানে ধৃত পুলিশ হেফাজতে। জারি তদন্ত। তদন্তে গতি আনতে সিট গঠন করা হয়েছে। সিট গঠন করেছে লালবাজার।
মঙ্গলবার গঠন করা হয়েছে সিট (SIT)। নেতৃত্বে রয়েছেন ডিসি ডিডি স্পেশ্যাল এবং ডিডি এসটিএফ। সিট তদন্ত করবে কেন লুকিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। জামার ভেতরে রড ছিল কেন? এই ঘটনায় আরও কে বা কারা জড়িত? প্রকৃত উদ্দেশ্য কি ছিল? উল্লেখ্য, লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, হাফিজুলকে সঙ্গে নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাবেন তদন্তকারীরা। সেখানে তাঁরা হাফিজুলকে দিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করবেন। মূলত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোথায় খামতি রয়েছে আর হাফিজুল কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়তে সক্ষম হল সেটাই এখন দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তবে সব থেকে চাঞ্চল্যকর যে তথ্য সামনে এসেছে তা হল, শনিবার রাতে মমতার বাড়িতে যখন হাফিজুল ঢুকে পড়েছিল তখন সে জামার ভেতরে লুকিয়ে রেখেছিল একটি লোহার রড। সেই রড সে কেন সঙ্গে করে নিয়ে এসছিল সেটাও এখন ভাবাচ্ছে পুলিশ আধিকারিকদের।
শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার সকাল অবশি হাফিজুল প্রায় ৭-৮ ঘন্টা ধরে লুকিয়ে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। সকালে সে ধরা পড়লে তাকে প্রথমে নিয়ে আসা হয় কালিঘাট থানায়। সেখানে দুপুর সোয়া দু’টোয় রাজ্যের ডিরেক্টরেট অফ সিকিউরিটির এক ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৮ ধারায় কাউকে আঘাত বা হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও বাড়িতে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বছর ৩১শের হাফিজুলকে তোলা হয় আদালতে। বিচারক পুলিশের আর্জি মেনে নিয়ে হাফিজুলকে ১১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠান। তারই মধ্যে পুলিশ জানতে পেরেছে, এর আগেও হাফিজুল নবান্নের নিরাপত্তা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল। তখন তাকে আটক করে হাওড়ার শিবপুর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও হাফিজুলের পরিবারের দাবি, সে মানসিকভাবে অসুস্থ ও চিকিৎসারত। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ও নবান্নের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।