নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়লাপাচার(Coal Smuggling) কাণ্ডের তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরোক্টরেট বা ইডি(ED) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল বাংলার মন্ত্রী মলয় ঘটক(Malay Ghatak)কে। সেই সঙ্গে তলম করা হয়েছিল রাজ্যের পুরুলিয়া জেলার বাঘমুণ্ডি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো(Sushanta Mahato)কে। দুইজনকেই এদিন অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ দিল্লির(New Delhi) কার্যালয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই দুইজনের একজনকেও হাজিরা দিতে দেখা যায়নি। সূত্রে জানা গিয়েছে সুশান্ত কেন এদিন আসতে পারবেন না তা জানিয়ে ইডি-কে ইমেল করলেও মলয়বাবুর তরফে এখনও পর্যন্ত ইডি-কে কিছুই জানানো হয়নি। সুশান্তকে এই প্রথমবার ইডি তলব করলেও মলয়বাবুকে এই নিয়ে চতুর্থবার তলব করেছিল, যা এদিন তিনি এড়িয়ে গেলেন।
কয়লা পাচারে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখেই তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল। কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালার বাড়ি পুরুলিয়ায়। এই জেলায় একাধিক কয়লা খনি রয়েছে। বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনে লালার হাতেখড়ি হয় এই জেলাতেই। এরপর অবৈধভাবে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি এলাকায় একাধিক খনি থেকে অবৈধভাবে তিনি কয়লা তুলতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। বাঘমুন্ডির এমএলএ সুশান্তবাবু। কয়লা পাচারের বিষয়ে তিনি কী জানতেন এবং পাচারের ভাগ পেয়েছেন কি না—এই বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে সূত্রের জানা গিয়েছিল। অন্যদিকে, মলববাবুকে এর আগে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর পাননি ইডির আধিকারিকরা। অথচ এগুলি স্পষ্ট হওয়া জরুরি বলে মনে করেন তাঁরা। একইসঙ্গে বিভিন্ন সাক্ষীর বয়ানেও মন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। এই সমস্ত বিষয়ে জানতেই মলয়বাবুকে আবার ডাকা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। ্কিন্তু এদিন তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। এমনকি কেন তিনি হাজিরা দিলেন না সেই বিষয়েও তিনি বা তাঁর আইনজীবী ইডি আধিকারিকদের কিছুই জানাননি বলে ইডির তরফে জানানো হয়েছে।
তবে সুশান্তবাবু ইডি-কে ইমেল পাঠিয়ে তাঁর গরহাজিরার কারণ জানিয়েছেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতেই সুশান্তবাবু ইমেল পাঠিয়ে ইডি-কে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য তিনি এখন কলকাতায় আছেন। ওই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য তিনি কলকাতার বাইরে এখন যেতে পারবেন না। তবে ইডি আধিকারিকেরা চাইলে তাঁকে কলকাতায় জেরা করতে পারেন। তার জন্য যদি তাঁকে ইডি কার্যালয়ে যেতে হয় তিনি নিশ্চয় যাবেন। ইচ্ছা করলে ইডি অধিকারিকেরা কলকাতায় তাঁর থাকার জায়গাতে এসেও জেরা করতে পারেন। যদিও এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে কী নেওয়া হবে তা ইডির তরফে এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।