নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোট। তার আগেই গোয়া থেকে ফিরে দলীয় প্রার্থীদের জন্য প্রচারে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। প্রথমে বাঘাযতীন তারপরে বেহালায় দুটি বিধানসভা মিলিয়ে ২১ জন প্রার্থীর জন্য জনসভা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েই তিনি জানিয়েছেন, ‘এবার আমি বলে দিচ্ছি, প্রতি ওয়ার্ডে কমিউনিটি সেন্টার তৈরি হবে। যার নাম হবে জয়হিন্দ ভবন। তাতে আলাদা করে মোটা টাকার বিনিময়ে বিয়ে বাড়ির হল ভাড়া করতে কষ্ট করতে হবে না। মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করলেই ভাড়া পাওয়া যাবে। আর কলকাতায় আগামী দিনে ১ কোটি গাছ লাগাতে হবে। বেহালাতেই ২০ হাজার গাছ লাগাতে হবে। কারণ আমফানে খুব ক্ষতি হয়েছে।’
কলকাতার সঙ্গে জেলার সংযোগের জন্য মেট্রোকে ব্যবহার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন গোটা কলকাতার সঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য জেলাকে জুড়ে দেওয়ার কাজ করার স্বপ্ন ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানেই জোকা-বিবাদী বাগ রুটে মেট্রো চলাচলের সিদ্ধান্ত নেন মমতা। বৃহস্পতিবার বেহালার জনসভায় মমতা জানিয়েছেন, ‘আগামী দিনে সুযোগ পেলে, অর্থ বরাদ্দ হলে দক্ষিণেশ্বরের সঙ্গে ডায়মণ্ড হারবার অবধি মেট্রোর লাইন করে দেব।’ এছাড়াও এদিন তিনি জানান, ‘যে কোনও বড় কাজে যাওয়ার আগে, যে কোনও বড় প্রোগামে যাওয়ার আগে আমি বেহালার মাটিটা ছুঁয়ে যাই। এই কথাটা আমি প্রতিবার এসে আপনাদের মনে করিয়েও দিই। যাতে আপনারা আমায় না ভোলেন আর আমি আপনাদের না ভুলি। আমার রাজনীতির হাতেখড়ি এখান থেকে। আমি যখন যাদবপুরে দাঁড়িয়ে ছিলাম প্রথমবার তখন বেহালা আমার সঙ্গে ছিল। আবার যখন আমি দক্ষিণ কলকাতায় দাঁড়িয়েছি তখনও আপনারা আমার সঙ্গে ছিলেন। আপনাদের বাদ দিয়ে আমি চলি না, আমার কাজ চলে না। গর্ব করে বলতে হয় ফিতে কে কাটবে আমার দেখার দরকার নেই, এই বেহালার মেট্রোরেলের সবটাকা আমি দিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমি জানতাম একদিন না একদিন এটা সম্পূর্ণ হবে।’