নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি সকাল থেকেই বাংলা সহ দেশের চোখ আটকে ছিল ভবানীপুরে। কেন না এদিনই হচ্ছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের গণনা। আর সেই চোখ আটকে থাকার কারণ অবশ্যই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন। প্রথম রাউন্ডে পোস্ট্যাল ব্যালেটের গণনা শেষে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিকটতম বিজেপি প্রার্থীর থেকে ২৮০০ ভোটে যে এগিয়ে থাকার দৌড় শুরু করেন তা গিয়ে থামে ৫৮ হাজারের ঘরে। নিকটতম বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে ফুৎকারে উড়িয়ে গণনা শেষে বাংলার অগ্নিকন্যা জয়ী হলেন হয়েছিলেন ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে। কিন্তু সেই ভোটের ব্যবধানে একটু হেরফের হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে ভবানীপুর উপনির্বাচন পোস্টাল ব্যালটের গণনায় তিনটি ভোট বেড়েছে তৃণমূল প্রার্থীর দিকে। অর্থাৎ কমিশনের তরফেই জানানো হয়েছে ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিকটতম প্রার্থীর থেকে ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে জিতেছেন।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুরে মোট ৭০২টি পোস্টাল ব্যালটের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৫৪, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ১০৪ এবং শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন ২৫টি ভোট। যা পরবর্তীতে আপডেট করে কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান বাড়িয়েছেন প্রিয়াঙ্কার থেকে। ভবানীপুর উপনির্বাচনে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘সারা বাংলা খুব আঘাত পেয়েছিল যখন সব ভোটে জিতেও একটায় জিততে পারিনি। সেটা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেটা নিয়ে এখন কিছু বলছি না। অনেক চক্রান্ত চলেছিল। সব চক্রান্ত জব্দ করে দিয়েছে বাংলার মানুষ, ভবানীপুরের মানুষ। ভবানীপুরের মানুষের কাছে আমি চিরঋণী। কোনও ওয়ার্ডে আমরা হারিনি। এই প্রথম এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। ২০১৬-তে যখন লড়েছি তখন একটা দুটো ওয়ার্ডে ভোট কম পেয়েছিলাম। কিন্তু এ বার সব ওয়ার্ডে জিতেছে দল। জায়গাটা ছোট্ট, কিন্তু তার বৃত্তটা অনেক বড়। আজ মন ভরে গিয়েছে, ভবানীপুরের মানুষ দেখিয়ে দিল। সারা বাংলা ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল।’
২০১১ সালের ভোটের রেজাল্টের ব্যবধান ভেঙে রেকর্ড গড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ঘর ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জিতেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।