নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘রথযাত্রা(Ratha Jatra) লোকারণ্য মহা ধূমধাম, ভক্তেরা লুটিয়া পরে করিছে প্রণাম।’ হ্যাঁ আজ রথযাত্রা। দাদা বলরাম আর বোন সুভদ্রার সঙ্গে আজ রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাওয়ার দিন প্রভু জগন্নাথের(Prabhu Jagannath)। স্বয়ং ভগবান এদিন নেমে আসেন ভক্তদের মাঝে। তাই তো ভগবানের রথের রশি টেনে ভক্তরাও চান একটু বাড়তি পূণ্য অর্জন করে নিতে। দেশজুড়ে এদিন সকাল থেকেই ধূমধাম সহকারে রথযাত্রার উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। বাদ নেই বাংলাও। রাজ্যের আনাচেকানাচে এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রভু জগন্নাথের বার্ষিক উৎসবের সমাহার। এহেন পূণ্য দিনে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন তাঁকে কলকাতার(Kolkata) রাজপথে দেখা যাবে ইসকনের(ISKCON) রথের রশি টানতে। তিনিই রথযাত্রার উদ্বোধন করবেন। সঙ্গে দেবেন বার্তাও। সেই দিকেই তাকিয়া আছেন রাজ্যবাসী।
আরও পড়ুন প্রতিটি পঞ্চায়েত ও সমিতির মাথায় পরামর্শদাতা কমিটি
মমতার সঙ্গে রথের সম্পর্ক অবশ্য নতুন নয়। রথের প্রতি ও জগন্নাথের প্রতি বাঙালির টান বুঝেই দিঘায় পুরীর অনুকরণে জগন্নাথ মন্দির বানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে পুরীতে অতিথিশালা তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। সদ্য ওড়িশায় গিয়ে সে বাবদে জমি দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মমতার সঙ্গে পুরীর সম্পর্ক অনেক গভীর এবং দীর্ঘকালীন। তা নিয়ে কেউ রাজনীতির অভিযোগ তোলেন না। পুরীর দ্বৈতাপতিরা কালীঘাটে এসে মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারিক পুজোতেও অংশ নিয়েছেন। তবে রথের সময় মমতা কখনই পুরী যাননি। তবে আগামী দিনে দীঘাতে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গেলে এবং সেখানেও রথযাত্রা শুরু হলে হয়তো মুখ্যমন্ত্রীকেও সেখানে রথের রশি টানতে দেখা যাবে।