নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির নম্বর টু নেতা অমিত শাহ(Amit Shah) বাংলা দখলের হাঁক পেড়েই শুধু ক্ষান্ত হননি, দলের সামনে রীতিমত ২০০’র বেশি আসন দখলের লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলে কী হবে, তাঁর বঙ্গ বিজেপি টিম ডাঁহা ফেল মেরেছিল সেই পরীক্ষায়। সেই মুখ থুবড়ে দশার একবছর পরে বৃহস্পতিবার দুই দিনের বাংলা সফরে এসেছেন অমিত শাহ। এসেই এদিন রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা মেরেছেন তিনি কাটমানি নিয়ে। বলেছেন, ‘এখনও বাংলায় কাটমানি, সিন্ডিকেট চলছে। ভেবেছিলাম, মমতা দিদি শুধরে যাবেন। কিন্তু বাংলার মানুষের রায়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেও শোধরাননি।’ সেই বক্তব্যেরই এদিন তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
এদিন কলকাতার চিংড়িঘাটার কাছে ই এম বাইপাসের ধারে মেট্রোপলিটান এলাকায় তৃণমূলের অস্থায়ী অফিসে এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা অমিত শাহকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘রোজকার মিথ্যাচারকে আমি ভ্রষ্টাচার মনে করি। রোজ মিথ্যা কথা বলাটা অন্যায়, অপরাধ। আর একই কথা বার বার বলে যাওয়া, হিজ মাস্টার্স ভয়েস, তোতাপাখির বুলি। একই কথা বার বার বলে যাওয়া। এটা মিথ্যাচারের ভ্রষ্টাচার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগে দিল্লি দেখুন। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, জহাঙ্গিরপুরীতে কী হচ্ছে সেটা ওঁর দেখা উচিত। বাংলা সম্পর্কে বাজে কথা বলা ওঁর শোভা পায় না। ওঁর সব প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। তবে একটা কথা ওঁকে জিজ্ঞেস করতে চাই, পেট্রোপণ্য-ওষুধের নাম রোজ বাড়ছে। মানুষের পকেট থেকে টাকা কাটছে সেগুলো কী কাটমানি না ছাঁটমানি। গ্যাসের দাম বাড়ছে। এটাও তো মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে। সেই টাকাটা কোথায় যাচ্ছে? ১৭ লক্ষ কোটি টাকা। এটা কি মানি? পকেট কাটলে কী বলা হয় পকেটমার। ওকে জিজ্ঞেস করুন কাটমানির(Cut Money) সংজ্ঞা কী? ওরা রোজ মিথ্যে কথা বলে। রোজ বার বার একই কথা বলা মিথ্যেচার। ভ্রষ্টাচারের রাজনীতি করে বিজেপি। এক বছর পরে এসে তো অমিত শাহের মুখ লুকোনো উচিত। ভোটের সময় যে ব্যবহার করেছেন তাই নিয়ে তো লজ্জা পাওয়া উচিত।’