এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টাকা চেয়ে মোদিকে চিঠি দিলেন মমতা

Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের মাঝেই সামনে এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আটকে দেওয়ার প্রসঙ্গ। চলতি অর্থবর্ষে বাংলার সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির জন্য বরাদ্দ টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকারের বিরুদ্ধে। সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি। সেই প্রাপ্য পাওনা চেয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের সচিব এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবকে আগেই চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। এবার সেই টাকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।

রাজ্যের ৪৭৪টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৬৫টি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ২৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির জন্য একাধিক কিস্তিতে টাকা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। যদিও অভিযোগ উঠেছে যে, চলতি অর্থবর্ষে প্রাপ্য বকেয়া এখনও পাঠায়নি কেন্দ্র। কিন্তু কেন মেলেনি কেন্দ্রীয় বরাদ্দ? জানা গিয়েছে, টাকা পাঠাবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রকল্পের নাম এবং সুস্বাস্থ্য ভবনের রং। কেন্দ্রের শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের নাম অনুযায়ী ওই সব সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম রাখতে হবে Health and Wellness Center। সেই সঙ্গে ভবনের বাইরে লিখতে হবে, আয়ুষ্মান মন্দির। কেন্দ্রের দাবি, সেই শর্ত না মেনে রাজ্যে এই প্রকল্প হয়ে গিয়েছে সুস্বাস্থ্য প্রকল্প। সেই সঙ্গে বাড়ির রঙ রাখতে হতো Metallic Yellow। সেই সঙ্গে খয়েরি রঙের বর্ডার। কিন্তু রাজ্যের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে রাঙানো হয়েছে নীল-সাদা রঙে, আর এই নিয়েই বেধেছে গোল।

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের(15th Finance Commission) টাকায় রাজ্যে ৪৭৪টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৬৫টি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ২৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। নবান্ন সূত্রে দাবি, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই খাতে ৮২৮ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এখনও অবধি ৭২৪ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পাওয়ার কথা ছিল ৮২৬ কোটি টাকা। অথচ মোদি সরকার দিয়েছে মাত্র ৪৮৬ কোটি টাকা। রাজ্য সরকার সূত্রে দাবি, Utilization Certificate ৬ মাস আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। Utilization Certificate না দিয়েও অনেক রাজ্যই টাকা পেয়ে গেছে। অথচ বাংলা Utilization Certificate দিয়েও টাকা পাচ্ছে না। চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত এই খাতে বাংলাকে কোনও টাকাই দেয়নি কেন্দ্র। আর তা নিয়েই এদিন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

তাতে তিনি জানালেন, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের(National Health Mission) অধীনে বাংলা দেশের অনান্য রাজ্যগুলির তুলনায় অনেক এগিয়ে এয়েছে। বাংলায় নিত্যদিন সাড়ে ১১ হাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ৩ লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পান। এটা ঠিক যে রঙ ও প্রকল্পের নামকরণ নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু কেন্দ্রের বাকি সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে। তাই অনুরোধ করা হচ্ছে নাম ও ভবনের রঙ সংক্রান্ত বিবাদ সরিয়ে রেখে কেন্দ্র সরকার দ্রুত বাংলার প্রাপ্য টাকা যেন রাজ্য সরকারকে পাঠায়। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অনুরোধ রাখছি প্রধানমন্তড়ীর কাছে যেন তিনি আটকে রাখা টাকা দ্রুত বরাদ্দ করতে নির্দেশ দেন। গরীব মানুষদের এই চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করবেন না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তৃণমূলের নিস্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করতে উদ্যোগী সুব্রত বক্সী

১৫ মে’ র পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা কমবে, বাড়বে অস্বস্তিকর গরম

‘মুসলিমদের এতো নিচু করার কোনও কারণ নেই’, সংখ্যালঘুদের পাশে মমতা

শ্লীলতাহানি  কাণ্ডে রাজভবনের আরও ৪ কর্মীকে তলব লালবাজারের

‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাজভবনের লাটুসাহেব’, আবারও বোসকে নিশানা মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর