নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই কাল জামাইষষ্ঠী(Jamaisashthi)। কোভিডের জেরে গত দুই বছর জামাইষষ্ঠী সেভাবে উদযাপিত হতে পারেনি। এবারে হয়তো সেই দুই বছরের ঘাটতি পূরণ করে নিতে চাইবেন জামাইবাবাজিরা। এবারে মস্ত সুবিধা যে জামাইষষ্ঠী পড়েছে রবিবার ছুটির দিনে। তাই অফিস কামাই করে বা ছুটি না পাওয়ার টেনশন অন্তত নেই। অনেকেই তাই শনিবার বিকাল বিকালই রওয়ানা দিয়ে দেবেন শ্বশুরবাড়ির পথে। অনেকে আবার শুক্রবারই চলে গিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির পথে। আর এই অবস্থায় রীতিমত কাহিল শ্বশুরমশাইরা(Father in Law)। কেননা বাজারে আগুন লেগেছে, যা ট্যাঁকের পয়সা সব খসিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কোনও কিছুই কাটছাঁট করা যাবে না। সেটা করতে গেলেই গিন্নি হয়ে যাবেন গরম। আদরের জামাইকে রেঁধেবেড়ে খাওয়াবার জন্য তাঁরা না জানি কত পরিকল্পনা করে বসে আছেন।
কার্যত শনিবার সকাল থেকেই শ্বশুরমশাইরা জামাইষষ্ঠীর বাজার করা শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু বাজার করতে গিয়ে দেখছেন তাঁদের ট্যাঁক খালি হয়ে যাচ্ছে। শনি সকালে খাস কলকাতায়(Kolkata) গড়িয়াহটের(Gariahat Market)) মতো বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি হাজার টাকা দরে। বাগদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার দরে। গলদা বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা দরে। ভেটকি মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে। পাবদা–পার্শের দরও ৬০০ টাকার ওপরে থেকেছে। যা অবস্থা তাতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বিবাহিত মেয়ের বাবাদের কার্যত প্রাণে মারা যাওয়াটুকু বাকি আছে। ফলের দামও কিছু কম নয়। হিমসাগর আম ১০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ল্যাংড়া আর গোলাপখাস বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। লিচু বিকোচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। গোটা কাঁঠালের দাম ১৫০ টাকা।
মাছ মাংসের দিকে তাকালেও কার্যত হাতে আগুন ছ্যাঁকা লাগছে। মুরগি দর এখন ২৫০ টাকার নীচে কোথাও নেই । ৬০ টাকার নীচে কোনও সবজিও মিলছে না। মিষ্টিও কার্যত ১০ টাকার নীচে অন্তত পাতে দেওয়ার মতো নয়। এবার জামাইবাবাজিকে তো আর ১০ টাকার মিষ্টি কিনে এনে খাওয়ানো যায় না। এবার তার জন্য বাহারি মিষ্টি আনতে গেলেই হাত পুড়ছে শ্বশুরমশাইয়ের। দুই বছরের জামাইষষ্ঠীর খরচা কার্যত এক বছরেই সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে।