নিজস্ব প্রতিনিধি: শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থনা করলেন কি? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান ,তিনি মসজিদে গিয়ে শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayet Election) জন্য প্রার্থনা করেছেন আল্লাহর কাছে। তিনি বলেন, হ্যা। প্রার্থনা করলাম। যাতে শান্তিতে ভোট হয়। মানুষ যাকে মনে করবে তাকে ভোট দিয়ে দায়িত্বে বসাবে। এরমধ্যে হানাহানি রেষারেষির কোনো জায়গা নেই। যদি আমাকে যোগ্য মনে করে, আমাকে দায়িত্ব দেবে। আপনাকে যোগ্য মনে করলে, আপনাকে দায়িত্ব দেবে। রাজনীতিতে আমি আমার কথা বলব। আপনি আপনার কথা বলবেন। মানুষ বুঝে নেবে কাকে সমর্থন করবে।
কাল অনুব্রতর(Anubrato) বীরভূমে প্রচারে ববি হাকিম? এই প্রশ্নের উত্তরে কলকাতার মেয়র বলেন,আমি মনে করি, আমাদের যা সংগঠন আছে, কর্মীরা যেভাবে নিস্বার্থ ভাবে কাজ করে, তাতে বেশিরভাগ আসনে আমরাই জিতব। অনুব্রত আমাদের সঙ্গে নেই। কিন্তু কর্মীরা আছে। মানুষ আছে। মমতা ব্যানার্জির(Mamata Banerjee) ছবি ও তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে যারা রাস্তায় নামে, মানুষ তাদের সঙ্গে আছে।
জাল ব্যালট পেপার প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য,পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়? নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। প্রথমে সন্ত্রাস, পরে বাহিনী, তারপর মনোনয়ন নিয়ে নাচানাচি করল। সেগুলো সব যখন সমাধান হয়ে গেল, তখন ভুয়ো ব্যালট পেপারের গল্প। হারের অজুহাত খাড়া করে রাখল। পিনে ওয়ালে কো পিনে কা বাহানা চাহিয়ে। হারনে ওয়ালে কো হারনে না বাহানা চাহিয়ে।
শান্তিপুর্ণ ভোট হবে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন,বিরোধি ভাইদের বলব, শান্তিপূর্ণ থাকতে। বোমা গুলি আমদানি থেকে সরে আসুন। পায়ের তলায় মাটি নেই বলে এগুলো করবেন না। পুলিসকে বলব, সতর্ক ভাবে বাংলার মানুষকে ভোটাধিকার পালনের সুযোগ করে দিন। ২০১১ এবং ২০১৬ তে কেন্দ্রীয় বাহিনী মুড়ে দিয়ে ভোটে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে মানুষ ছিলেন, এবারেও যত ইচ্ছা বাহিনী আসুক, তৃণমূল মানুষের ওপর ভরসা করে। বিরোধিরা এবার আর বলতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস করছে। বাহিনী এসে গেছে। উত্তেজনা এবং মারপিট করবেন না। মানুষ পাত্তা দেবে না।রোজ শিরোনামে কোচবিহার কেন? এর উত্তরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) বলেন,কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়ে আমাদের চার ভাইকে মেরে ফেলেছে। কোচবিহার বর্ডার এলাকা। শীতলকুচিতে মেরে ওপারে চলে যাচ্ছে। বি এস এফ নিষ্ক্রিয়।