নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী নিয়ে বিধানসভার মতোই অসন্তোষ চলছে। সূত্রের খবর, পুরভোটের রণনীতি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার রাতে। সূত্রের খবর, ভার্চুয়াল এই বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি শুকান্ত মজুমদার এবং সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মধ্যে মতবিরোধ হয়। ফলে মাঝপথেই ভার্চুয়াল বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান রূপা। এরপরই কার্যত ভেস্তে যায় বিজেপির ওই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। জানা যাচ্ছে, দিল্লি থেকে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ নির্বাচনী কমিটির সদস্যরাও। জানা যাচ্ছে, বৈঠকের মাঝপথেই আচমকা উঠে যান রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এরকম বৈঠকে আমাকে আর ডাকবেন না’। এরপরই ভার্চুয়ালি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কেন রেগে গেলেন রূপা? সেটা স্পষ্ট না হলেও তাঁর একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। রূপার ওই ফেসবুক পোস্ট দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাসের প্রার্থী না করায় অসন্তুষ্ট রূপা। প্রসঙ্গত, ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলর প্রয়াত তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাসের প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। এরপরই ক্ষুব্ধ গৌরব নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছেন। যা নিয়ে আগেই ক্ষোভ জানিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে দীঘা থেকে ফেরার সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় পুরপ্রতিনিধি এবং দক্ষিন কলকাতায় বিজেপির সাংগঠনিক মুখ তিস্তা বিশ্বাসের।
কেন তাঁর স্বামী তথা দীর্ঘদিনের বিজেপির সক্রিয় কর্মী গৌরবকে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হল না সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ৪১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়েও অস্বস্তিতে বিজেপি। ওই ওয়ার্ডেও দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী তথা দলের রাজ্য প্রোটোকল ইনচার্জ চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া অন্যতম দাবিদার ছিলেন। কিন্তু তাঁকে প্রার্থী না করায় কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে বিক্ষোভও হয়। এবার দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা সাংসদের জন্য মাঝপথেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় চরম অস্বস্তিতে পদ্মশিবির।