নিজস্ব প্রতিনিধি: হিন্দু ধর্মের তরুণী আবাসিকদের জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগ আগেই উঠেছে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে গুজরাতের ভাদোদরায় অশান্তির সৃষ্টি হয়। বজরং দলের তরফেই এই ধর্মান্তকরণের অভিযোগ তোলা হয়, দাবি সেখানকার মিশনারিজ অব চ্যারিটিতে থাকা হিন্দু তরুণীদের জোর করে বাইবেল পড়ানো হচ্ছে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমিষ খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। সেই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর মাঝেই মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্র ভারতের মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। বড়দিনের উৎসবের সময় এটা শুনে আমি স্তম্ভিত। মিশনারিজ অব চ্যারিটির ২২ হাজার রোগী এবং কর্মী রয়েছেন। তাঁরা খাবার এবং ওষুধ ছাড়া কী করে থাকবেন?’
Shocked to hear that on Christmas, Union Ministry FROZE ALL BANK ACCOUNTS of Mother Teresa’s Missionaries of Charity in India!
Their 22,000 patients & employees have been left without food & medicines.
While the law is paramount, humanitarian efforts must not be compromised.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 27, 2021
যদিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায়নি মিশনারিজ অব চ্যারিটির কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হওয়াতে চ্যারিটিজের বিনামূল্যে ওষুধ ও খাবার সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই খ্রিস্টমাস ইভের মাঝেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে জোর ধাক্কা খেল মিশনারিজ অব চ্যারিটি। কেন্দ্রের তরফে গোটা ভারতেই চ্যারিটির সমস্ত আর্থিক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিপাকে আবাসিকরা। যা নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বাম নেতৃত্ব। ১৯৫০ সালে কলকাতায় মাদার টেরিজা মিশনারিজ অব চ্যারিটি স্থাপন করেন। কলকাতা ছাড়াও দেশের অন্যত্র চ্যারিটি কাজ করে। বিদেশেও মিশনারিজ অব চ্যারিটির শাখা রয়েছে। ভারতে ২৪৩টি হোম রয়েছে সংস্থার। সেখানে বহু মানুষ চিকিৎসা করান। কিন্তু আচমকাই এইভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করাতে ব্যাহত হবে সেই পরিষেবা। সেই কারণেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।