নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা(Bengal) আর বাঙালিকে বঞ্চনা করার রেকর্ড গড়তে নেমেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। যেহেতু এ রাজ্যের সরকার কেন্দ্রের প্রকল্প পিএমশ্রী স্কুল প্রকল্পের(PM Shri Project) জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে MOU সাক্ষর করেনি, তাই সমগ্র শিক্ষা মিশনের(Samagra Shiksha Mission) জন্য রাজ্যের প্রাপ্য তৃতীয় কিস্তির টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পিএমশ্রী প্রকল্পের অধীনে দেশজুড়ে ১৪,৫০০ স্কুল গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হল, স্কুলগুলিতে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ একেবারে অক্ষরে অক্ষরে কার্যকর করা। আর তাই দেশের সব রাজ্যগুলিকে বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে পিএমশ্রী প্রকল্পের MOU স্বাক্ষরে রাজি করাচ্ছে কেন্দ্র। কার্যত চাপ দিয়ে তা করতে রাজ্যগুলিকে বাধ্য করানো হচ্ছে। সেই কারণেই স্কুল স্তরে জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণের বিরোধী এ রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তা সাক্ষর করেনি। তারই জেরে এবার সমগ্র শিক্ষা মিশনের তৃতীয় কিস্তির টাকা আটকে দিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন এ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন, সমগ্র শিক্ষা মিশন এবং পিএমশ্রী প্রকল্প দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা। একটির জন্য অন্য একটি প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা যায় না। অথচ কেন্দ্র সেটাই করছে। তাছাড়া, যে প্রকল্পের ৪০ শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকার বহন করবে, সেটির নাম পিএমশ্রী কেন হবে? ব্রাত্যবাবুর দাবি অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রক এবং অভ্যন্তরীণ অর্থবিভাগ পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ ছেড়ে দিলেও তা রাজ্যের কাছে পৌঁছয়নি। শিক্ষাবিদদের মতে, শিক্ষা সাংবিধানিক ভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয় হওয়ায় একতরফা কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু পিএমশ্রী প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র যা করছে সেটা সংবিধান বিরোধী। কেননা কেন্দ্র একতরফা ভাবে গায়ের জোরে তা চাপিয়ে দিতে চাইছে। যদিও কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ সরকারের অভিমত, ‘সমগ্র শিক্ষা মিশন এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। সারা দেশে স্কুলগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য সেখানে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন। সেই উদ্দেশ্যেই পিএমশ্রী স্কুল প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর আওতায় প্রতি ব্লকে দুই থেকে তিনটি স্কুল হবে।’