নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কথা মাথায় রেখে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য। রাজ্যের তরফে ২৩ অক্টোবর থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে কন্ট্রোলরুম চালু করতে চলেছে প্রশাসন। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি জেলাশাসকদের নিয়ে এবং ২০ টি দফতরের সচিবদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কথা মাথায় রেখে এই বৈঠক হয় এদিন। সূত্রের খবর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিত্রাংয়ের প্রভাবে আগামী ২৪ ও ২৫ অক্টোবর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আর এই বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতি রুখতে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কন্ট্রোলরুম চালু করতে হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন। একইসঙ্গে অমাবস্যার কারণে ঘাটগুলিতে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কালী পুজোর বিসর্জনের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নবান্নের।
নবান্নের তরফে জেলাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের নির্দেশ দিতে হবে প্যান্ডেলের পরিকাঠামো শক্তপোক্ত করার জন্য। ঝড়ের গতির কথা মাথায় রেখে প্যাণ্ডেলের পরিকাঠামো নির্মাণ করতে হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সিত্রাং আসার আগে শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। জেলাশাসকদের পাশাপাশি ২০ টি দফতরের সচিবরাও বৈঠকে হাজির ছিলেন। সেই বৈঠক থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাসে জাস্নানো হয়েছে, সোমবার কালীপুজোর দিন থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ঝড়ের পূর্নাভাসের কারণে সরকারি কর্মীদের কালীপুজো ও দীপাবলির ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।