নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষক থেকে পুরসভা, সাথে এখন আবার রেশন, সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি এই রাজ্যে। প্রতিদিনই ধর্নায় বসছে প্রায় হাজার হাজার চাকরি পার্থীরা। তাতেও মিলছে না কোনও সুরাহা। এবার মালদার এক চাকরিপ্রার্থীর কাণ্ডে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাওড়ায়।
এই চাকরিপ্রার্থী বিশেষভাবে সক্ষম। ছোটবেলা থেকে দুই পা অচল। কিন্তু তা সত্ত্বেও মনের জোর অদম্য। মালদার মন্ডাই গ্রামের বাসিন্দা ওই চাকরিপ্রার্থীর নাম নিখিল সরকার। হুইল চেয়ারে চেপেই হাতে আবেদনপত্র নিয়ে বেড়িয়ে পরেছিলেন নবান্ন অভিযানে। কিন্তু হাওড়া ব্রিজে তাকে আটকে দেয় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বিশেষভাবে সক্ষম নিখিল সরকারি চাকরিপ্রার্থী। বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়েও সাফল্য আসেনি। কিন্তু পাশ করেছেন এসএসসি পরীক্ষায়। তাঁর বয়স অনুযায়ী এই বছরের পর চাকরির পরীক্ষার জন্য তিনি আর যোগ্য থাকবেন না।
ছোট থেকেই দুটি পা অচল হওয়ায় হুইল চেয়ারই তার ভরসা। নিখিল কখনও জীবন নির্বাহের জন্য ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নিতে চাননি। কারণ তিনি স্নাতকোত্তারের পাশাপাশি বিএড পাশ করেছেন। এই কারণেই তার চাই একটি চাকরি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও মনের জোর নিয়েই মালদার মন্ডাই গ্রাম থেকে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চাকরির আবেদন করবেন বলে। ট্রেনে শিয়ালদা স্টেশনে নেমে পোস্টার সমেত হুইল চেয়ারে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে তাঁর এক বন্ধু।
হাওড়া ব্রিজে পুলিশ তাকে থামিয়ে দেয়। পুলিশের মাধ্যমেই তিনি তাঁর বার্তা পৌঁছে দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। নিখিল আক্ষেপ করে জানিয়েছেন, ‘নবান্ন গিয়ে দিদির সঙ্গে দেখা করতে চাই। চাকরি না দিলে আমাকে আত্মহত্যার অনুমতি দিক। বাড়িতে শুধু আমার বয়স্ক দিদি রয়েছেন। এই বছরই আমার সরকারি চাকরি পাওয়ার শেষ বছর।’