নিজস্ব প্রতিনিধি: আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন টালা ব্রিজ(Tala Bridge)। এবার নবান্ন সূত্রেই ইঙ্গিত মিলেছে সেই সেতু নির্মাণের কাজ এখন প্রায় শেষের পথে। সব কিছু ঠিক থাকলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) হাত দিয়েই মহালয়ার(Mahalaya) আগে এই সেতু খুলে দেওয়া হতে পারে আমজনতার পাশাপাশি যানবাহন চলাচলের জন্য। ব্যবহারের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে পড়ায় ২০১৯ সালে পুজোর ঠিক আগে পুরানো টালা ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর পুরোনো ব্রিজটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। প্রায় ৭৫০ মিটার দীর্ঘ নতুন টালা ব্রিজ নির্মাণে ৩০০ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
নতুন টালা ব্রিজের একটা বড় অংশ রেল লাইনের ওপর দিয়ে গিয়েছে। ফলে রেলের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিতে হয়েছে।অসেই অনুমোদনের জন্য সেতুর মূল অংশের কাজ বেশ কিছুটা দেরীতে শুরু হয়েছিল। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল, চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে নতুন ব্রিজটি চালু করে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রথমে লকডাউন ও তারপরে সেতুর নক্সা নিয়ে রেলের টালবাহানায় ব্রিজের কাজ শেষ করতে কিছুটা বেশি সময় লেগেছে। নতুন টালা ব্রিজ চালু হলে কলকাতার(Kolkata) সঙ্গে উত্তর শহরতলির যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই সহজ হয়ে উঠবে। এখন উত্তর শহরতলির মানুষজনকে কলকাতায় সড়কপথে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। টালা ব্রিজ না থাকায় ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্চে সমস্ত রকমের যানবাহণ। তবে টালা ব্রিজ না থাকায় সব থেকে বেশি চাপ বেড়েছে বেলগাছিয়া ব্রিজের ওপর। সেখানে এখন নিত্যদিনই যানজট লেগে থাকে। এবার টালা ব্রিজ খুলে দিলে এই সেতুর ওপর চাপ কমবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, যেহেতু এই সেতু বেশ পুরাতন তাই টালা ব্রিজ চাল হলেই এই সেতুও ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে।